পাতা:আদায়ের ইতিহাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

L ৷ তিন ॥ ত্রিষ্টুপ বুঝিতে পারে—এটা সে পছন্দ করিতে পারিতেছে না। মানুষকে দেখিয়া কোথায় সে নিজেও সুখী হইবে, তার বদলে মন তার বিরূপ হইয়া পড়িতেছে-তিরাশী টাকার কেরাণীর জীবনে সুখশান্তির অস্তিত্ত্ব মানিতে সে রাজী নয়। দেখিয়া যা মনে হইতেছে তা সত্য নয়, আসলে এদের দুজনের জীবন দুঃখময়—এ ধারণা সে জোর করিয়া ধরিয়া রাখিতে চায়। কদিন এদের কথাই সে ভাবিয়া যায়। চিন্তাধারার প্রতিবাদের মত, অভিজ্ঞতার ব্যতিক্রমের মত দুজনে তাকে পীড়ন করিতে থাকে। চারিদিকে সে দেখিতে পায় মানুষের মুখে দুঃখের কালো ছায়া, দেহে ক্ষয়, জীবনে অপচয়, সঙ্কীর্ণ, নিঃস্ব আবিষ্টনীর পোষণ। এই পরিচয়েরই ছাপমারা তার বর্তমান । তাই তো সে ভবিষ্যৎ রচনা করিতে চায়। আজ কিছু নাই, কাল ঐশ্বর্য চাই। এই অবস্থায় ধীরেন ও রমলা उादांद्र कि थींक्षा ग्रटि कब्रिल ! মণীশকে সে জিজ্ঞাসা করে, “ধীরেনবাবু বেশ লোক না ? ‘হঁ্যা ও ভালো মানুষ, খাটি।’ মণীশের কথার মানে তার কাছে স্পষ্ট হইয়া উঠিল কয়েক দিন পরে। নিজেদের সংসারে ধীরেন ও রমলাকে দেখিয়া আসিবার ইচ্ছাটা সে দমন করিতে পারিতেছিল না। রবিবার বিকালে সে সহরের এক প্রান্তে তাদের ছোট একতলা বাড়ীতে গিয়া হাজির হইল । আগের দিন প্রথম রাত্রে অসময়ের ঝড় উঠিয়াছিল। ঝড় উঠলে, ত্রিষ্টুপ গভীর উল্লাস বোধ করে। ঝড়ের বেগে বাড়ীর কাছে সিধা।