পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তা র পা র নম্র গোরস্ত বৌটির মতো চেহারার ভিতরে যে বুদ্ধি আছে তার ধারে অনেকে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে । কাণাকালি পৌছে একটা দুঃসংবাদ শোনা যায়। কোন এক নারীসঙ্ঘ থেকে দুজন মহিলা কর্ম্মী গায়ে এসেছে আগের দিন সকালে । বৈরাগী দাসের সেই বেঁটাকে তারা সঙ্গে এনেছে কটিবাজারের বাঙ্গীর থেকে সংগ্রহ করে, ওদের কথায় জীর্ণ শীর্ণ জ্বরগ্রস্ত বৌটাকে বৈরাগী ক্ষমা করেছে, গ্রহণ করেছে। বাড়ী বাড়ী ঘুরে মেয়ে দুজন সকলকে সাবধান করে দিচ্ছে লোকের কথায় ভুলে মেয়েরা যেন কোথাও না যায়। লোভে পড়ে গিয়ে দুদিনে মেয়েদের কি অবস্থা হয়, রোগে ব্যারামে শরীর একটু ভাঙ্গলেই কি ভাবে পথে এসে দাড়াতে হয়, বাগে পেলে কি ভাবে দূরে দূরে চালান করে দেওয়া হয় সব কথা ফাঁস করে দিচ্ছে। বৈরাগী দাসের বৌটাকে সামনে ধরছে প্রমান হিসাবে। সঙ্গে দুজন বাবু আছে তাদের। লালু আর মবুবকে তারা কত উপদেশই যে দিয়েছে! স্কুলের ছেলে তারা, এই বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে খারাপ কাজে লাগা কি উচিত ?--এমনি সব বড় বড় কত কথা । “সিগারেট চাইতে ছোকরা বাবুটা রেগে টিং!” লালু আর মবুব খিলখিলিয়ে হাসে। গজেন চিন্তিত হয়ে ফুলকে নৌকায় রেখে একাই নেমে যায়। অবস্থাটা ভাল করে না বুঝে মাগীটাকে সঙ্গে করে গায়ের মধ্যে যেতে তার ভরসা হয় না। কেরোসিন তেলের টিনটিা সে সঙ্গে নিয়ে দয়ালের বাড়ী পৌছে দেয়। sa