পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তা র পা র হওয়ায় সে বোতল বার কয়ে তৃষ্ণা মেটাবার আয়োজন করে। গর্জেনকে ডেকে নেয় ছাই-এর মধ্যে। সেখানে কড়া মিলিটারী চােরাই মদ আর ফুলের সাহচর্য্যে ক্রমে ক্রমে গজেনের উত্তেজনা ফিরে আসায় কাব্যিক বিষাদ কেটে যায়। আরও কিছু পরে বেশ মেতেই ওঠে তারা দুজনে। ছই-এর বইরে হাবোকে প্রথম দেখতে পায় ফুল। গজেনকে একটু ঠেলে সরিয়ে দিয়ে সে বলে, “তুমি কে গো ?” গজেন মুখ ফিরিয়ে বলে, “কিরে হাবো ? কি করছিস হেথা ? হাবো পা গুটিয়ে হাতে ভর দিয়ে বসে হাঁ করে দেখছিল। মুখ দিয়ে তার লালা গড়িয়ে গড়িয়ে নৌকার পটাতনে জমেছে। সসপ করে লাল টেনে মুখ বন্ধ করে সে উঠে দাড়ায়, এক লাফে ডাঙ্গায় পড়ে, ছুটি দেয় গায়ের দিকে । দূরে থানার পেটা ঘড়িতে দশটা বাজবার খনিক পরে দয়ালের বাড়ীতে ‘আগুন ! আগুন ? চীৎকার ওঠে । পাড়ার লোক হৈ হৈ করে ছুটে যায়। পুরো একটি কেরোসিন গায়ে বিছানায় ঢেলে হাবো আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ঘরে। পর্য্যন্ত আগুন ধরে গেছে। দয়ালের । খবর শুনে বৈরাগী দাসের বৌ চােখ বড় বড় করে বলে, “এক টিন তেল ! কুপি জ্বালার তেল মেলে না এক ফোটা, ছুড়ি একটিন তেল ঢেলেছে।” অনেকেই আপশোষ করে। yo