পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VOCO ঐতিহাসিক চিত্ৰ । ১৭৬৫ খৃঃ অব্দ হইতে কোম্পানী চব্বিশ পরগণার কেবল জমীদার মাত্র নী থাকিয়া তাহার শাসনকাৰ্য্যেও হস্তক্ষেপ করেন। সেই সঙ্গে নবাব কাসেম আলি খার নিকট হইতে প্ৰাপ্ত বৰ্দ্ধমান ও চট্টগ্রাম প্রদেশেরও শাসনভার তাহারা স্বহস্তে গ্ৰহণ করেন। পূৰ্ব্বে কেবল কলিকাতা নগরীতে র্তাহারা তঁহাদের দেশসম্মত শাসন ও বিচারাদি করিতেন, এক্ষণে চব্বিশ পরগণা, বৰ্দ্ধমান ও চট্টগ্রামের প্রতি র্তাহারা আপনাদিগের ইচ্ছানুযায়ী শাসন ও বিচারকাৰ্য্য পরিচালনায় প্ৰবৃত্ত হন। কিন্তু এই সকল স্থানে কলিকাতার ন্যায় ইংলণ্ডীয় প্ৰথায় বিচারাদি প্ৰবৰ্ত্তিত হয় নাই । ১৭৯৩ খৃঃ অবদ হইতে চব্বিশ পরগণায় রীতিমত দেওয়ানী, ফৌজদারী ও রাজস্ব আদালত স্থাপিত হয়, এবং বৰ্দ্ধমান হইতে কয়েকটি সম্পত্তি ইহার রাজস্ব বিভাগের অধীনে আসে। ১৮৩৪ খৃঃ অব্দে নদীয়া ও যশোর হইতে কয়েকটি পরগণা চব্বিশ পরগণার সহিত মিলিত হয়, এবং ১৮৬২ খৃঃ অব্দে বৰ্দ্ধমানের পরগণাগুলি হুগলীর অধীনে যায়। পূৰ্ব্বে আলিপুর ইহার প্রধান স্থান ছিল, এবং তথায় চব্বিশ পরগণার বিচারালয়াদি স্থাপিত ছিল । সমস্ত চব্বিশ পরগণা আলিপুরেরই অধীন ছিল । ১৮৩৪ খৃং অব্দ হইতে যশোর ও নদীয়ার পরগণা সমূহ চব্বিশ পরগণার সহিত মিলিত হইলে বারাসত জয়েণ্ট মাজিষ্ট্রেটের অধীনে তাহারা স্থাপিত হয় । তাহার পর ১৮৫৭ খৃঃ অব্দে বৰ্ত্তমান চব্বিশ পরগণা জেলা গঠিত হয়। কিছুকাল পর্যন্ত এই জেলা আলিপুর ও বারাসত দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। এক্ষণে আলিপুর, ইহার সদর স্থান এবং বারাসত, ডায়মণ্ডহারবার, বসিরহাট ইহার উপবিভাগ ও বারুইপুর একটী চৌকী, এবং বারাকপুর ও দমদমায় একজন স্বতন্ত্র মাজিষ্ট্রেট থাকেন। পূৰ্ব্বে সাতক্ষীর উপবিভাগ চব্বিশ পরগণার অন্তর্গত ছিল । এক্ষণে তাহা খুলনা জেলার অধীন হইয়াছে । নবাব জাফর আলি খার প্রদত্ত চব্বিশ পরগণা ও মীর মহম্মদ সাদেক দত্ত সাতাইশ মহাল কিছু পরে পরিবৰ্ত্তিত হইয়া অন্য প্ৰকার বিভাগে বিভক্ত হইয়াছিল। হলওয়েল সাহেবের ১৭৫৯ খৃঃ অব্দে ১১ই জুন তারিখের একখানি পত্ৰ হইতে দেখা যায় যে, তিনি জাফর আলি খ্যার ও মীর মহম্মদ সাদেকের প্রদত্ত পরগণা