পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sy ঐতিহাসিক চিত্ৰ । তাহারা প্ৰজাদের প্রতি অত্যাচার করিতে ত্রুটি করিবেন না। সেই জন্য তিনি জমীদারদিগকে সতর্ক করিয়া দিয়াছিলেন। যাহারা মনে করেন যে, মুসল্মান শাসনকৰ্ত্তাগণ কেবলই অত্যাচারী ছিলেন, ও অত্যাচারের প্রশ্রয় দিতেন, তাহাদের এই সমস্ত বিষয়গুলি একবার বিবেচনা করিয়া দেখিতে অনুরোধ করি । জমীদারদিগের সহিত এইরূপ সুবন্দোবস্ত করায়, নবাব মুর্শিদকুলী খাঁর সময় অপেক্ষা সুজাউদ্দীনের সময় রাজস্ব বৃদ্ধি হইল, নবাব মুর্শিদকুলী দিল্লীতে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা রাজস্ব পাঠাইতেন, সুজাউদ্দীন তাহার স্থলে দেড় কোটি টাকা পাঠাইতে লাগিলেন। জমীদারের জগৎশেঠের নিকট স্বীয় স্বীয় দেয় রাজস্ব প্ৰদান করিতেন, পরে আবার তাহার দ্বারা দিল্লীতে রাজস্ব প্রেরিত হইত। সুজাউদ্দীনের সাধুব্যবহারে প্রীত হইয়া জমীদারেরা প্ৰাণপণে রাজস্ব প্রদানের চেষ্টা করিতে লাগিলেন, এবং বাঙ্গালার রাজস্ব বৃদ্ধি হওয়ায় দিল্লীতেও পুৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক রাজস্ব প্রেরিত হইতে লাগিল। সুজাউদ্দীন ক্ৰমে ক্ৰমে মন্ত্রিসভার প্রতি প্ৰায় সমস্ত কাৰ্য্যের ভার নিক্ষেপ করিয়া, নিজে কথঞ্চিৎ বিলাসপারায়ণ হইয়া উঠেন । ফারাবাগ নামক তঁহার প্ৰমোদ উদ্যানে অনেক সময় অতিবাহিত করিতেন। ফারাবাগ বৰ্তমান মুর্শিদাবাদের পর পারে। সুজাউদ্দীনের ন্যায় দয়ালু সুবিচারক উদার নবাব বাঙ্গালার নবাবদিগের মধ্যে দুলভ। একমাত্র ইন্দ্ৰিয়পরায়ণতাই তাহার দোষ ছিল, উক্ত দোষ না থাকিলে, আদর্শ নবাব বলিয়া গণ্য হইতে পারিতেন। মুর্শিদকুলীর রাজত্বের শেষভাগে তাহার প্রতি বিহার প্রদেশ শাসনের ভার অর্পিত হইয়াছিল, কিন্তু সুজাউদ্দীনের নিকট বাঙ্গালা ও উড়িষ্যার ভার অৰ্পিত হয়। ১৭৩২ খৃঃ অব্দে পুনৰ্ব্বার সুজাউদ্দীনের প্রতি বিহার শাসনের ভার অর্পিত হইলে, তথায় একজন উপযুক্ত ব্যক্তি পাঠাইবার আবশ্যক श्७श्राद्म, नदाद মন্ত্রি সভার সহিত পরামর্শ করিয়া আলিবন্দী খাকে তথায় পাঠাইয়া দেন । ,, আলিবািঢ় মন্ত্রিসভার একজন প্রধান ব্যক্তি ছিলেন। জগৎশেঠ, ফতেচাদ প্রভৃতির তাহার সহিত সৌহার্দ জন্মে। ফতেচাদ প্রভৃতির পরামর্শানুসারে নবাব