পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎশেঠ। Sèda) ছিল -সমস্ত মুদ্রা বাক্সবন্দী হইয়া দুই শতেরও অধিক গো শকটে স্থাপিত হইয়া উপযুক্ত প্রহরী ও একজন নায়েব খাজাঞ্জীর সহিত প্রেরিত হইত। সেই সঙ্গে বাদশাহ ও অমাত্যবর্গের জন্য নানা উপঢৌকন পাঠাইবারও ব্যবস্থা ছিল। এই সমস্ত শকট ও প্রহরী বিহার পর্য্যন্ত পহুছিত পরে তথা হইতে নূতন শকট ও প্রহরীর দ্বারা সেই সমস্ত রাজস্ব এলাহাবাদ পৰ্যন্ত যাইত, তথা হইতে আবার নূতন শকট ও প্রহরীর সাহায্যে একেবারে দিল্লী গিয়া উপস্থিত হইত। ইহাতে সময়ে সময়ে অসুবিধা ঘটায়, দেওয়ান মুর্শিদ কুলি শেঠ মাণিকচাদের পরামর্শ ক্রমে তাহদের দিল্লীর গদীতে হুণ্ডি পাঠাইবার ব্যবস্থা করেন, এবং সেই হুণ্ডি অনুসারে দিল্লীর শেঠ গদীয়ানগণ বাঙ্গলার সমস্ত রাজস্ব সম্রাট দরবারে উপস্থিত করিতেন। এদিকে মাণিকচাঁদ বাঙ্গলার গদীতে সমস্ত রাজস্ব জমা করিয়া লাইতেন । এইরূপে বাঙ্গলার জমিদারদিগের নিকট হইতে রাজস্ব আদায় করিয়া দিল্লীতে পহুছন পৰ্য্যন্ত সমস্তই মাণিকচাদকে করিতে হইত। সেই জন্য বাঙ্গলার রাজস্বের সহিত তাহদের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল। মুর্শিদ কুলি খাঁর এই সমস্ত বন্দোবস্তের সময় দিল্লীতে বাদশাহ-পরিবর্তন ও নানারূপ বিপ্লব উপস্থিত হয়। ১৭০৭ খৃষ্টাব্দে সম্রাট আরঙ্গজেবের দেহত্যাগ ঘটিলে তঁাহার পুত্ৰগণ গৃহবিবাদে উন্মত্ত হইয়া উঠেন। অবশেষে তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ মোয়াজিম বাহাদুর শাহ উপাধি ধারণ করিয়া সিংহাসনে অধিরূঢ় হন। নবাব আজিম ওস্মানের পিতা বাহাদুর শাহের সময়েও মুর্শিদ কুলি তিন প্রদেশের দেওয়ানী এবং বাঙ্গলা ও উড়িষ্যার নায়েব নাজিমী পদেই নিযুক্ত ছিলেন। বাহাদুর শাহের পরে জাহাঙ্গর শাহ, অবশেষে ফরক শের দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৭১৩ খৃঃ অব্দে সম্রাট ফারক শেরের নিকট হইতে মুর্শিদ দেওয়ানী ও নাজিমী উভয় পদেরই ক্ষমতা প্ৰাপ্ত হন । তদবধি তিনি নবাব মুর্শিদ কুলি নামে অভিহিত হইয়া আসিতেছেন। নবাব মুর্শিদ কুলি দেওয়ানী । ও নাজিমী উভয় পদই প্ৰাপ্ত হইয়া বাঙ্গলার শাসন ও বন্দোবস্তে অধিকতর মনােযোগ প্ৰদান করিলেন। যদিও নায়েব নাজিমীর সময় হইতেই তিনি । অনেকটা স্বাধীন ভাবে কাৰ্য্য আরম্ভ করিয়াছিলেন, তথাপি অনেক কাৰ্য্যে ?