পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sኳፖ ঐতিহাসিক চিত্র বলিয়া পূজিত হইয়া থাকেন। তিব্বত ও মোঙ্গলিয়ায় এই রূপ অনেক সজীব বুদ্ধ আছেন। তন্মধ্যে তিব্বতের সজীব বুদ্ধগণ সাধারণতঃ লামা উপাধি গ্ৰহণ করেন। কিন্তু নোঙ্গলিয়ার সাধারণ বৌদ্ধ পুরোহিতগণ লামা বলিয়া অভিহিত হইলে ও তাঁহাদের মধ্যে সৰ্ব্ব প্রধান নেতৃগণ গিগেন বা সজীব বুদ্ধ বলিয়াই কথিত হইয়া থাকেন । বৰ্ত্তমান সময়ে মোঙ্গলিয়ার রাজধানী উর্গার সজীব বুদ্ধ মোঙ্গল বৌদ্ধগণের সর্বপ্রধান নেতা। এই সজীব বুদ্ধ ইংরেজের তিব্বত প্ৰবেশ বৌদ্ধজগতের পক্ষে ঘোরতর অকল্যাণ মনে করিয়া অত্যন্ত চিন্তিত হইয়া পড়িয়াছেন। আমরা পরে সে বিষয়ের উল্লেখ করিব । প্ৰথমে কিরূপে সজীব বুদ্ধ প্রথার উৎপত্তি হইল। আমরা তাঙ্গাই বিবৃত করিতেছি। বুদ্ধদেবের নির্মাণের পর চাইতে ক্ৰমে ক্ৰমে বৌদ্ধগণ ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত হইতে আরম্ভ করেন । অবশেষে তাহারা মহাযান ও হীনযান নামে iDBuB KBB DDDLB BBD DD D SS SD0DSBB নাগাৰ্জ্জুন হইতে মহাযান পন্থার উৎপত্তি। এই মহাযান পন্থা উত্তর প্রদেশে ও হীনযান পন্থা দক্ষিণ প্রদেশে খ্যাতি লাভ করে। মহাযান সম্প্রদায় ক্রমে প্রাচীন অহঁৎবাদের প্রতি তাদৃশ অনুরক্তি প্ৰদৰ্শন না করিয়া বোধিসত্ত্ববাদের পক্ষপাতী হইয়া উঠে। অহৎবাদে আন্মোন্নতির দ্বারা দুঃখধ্বংস, ও নিৰ্ব্বাণলাভই চরম উদ্দেশ্য । একমাত্ৰ বুদ্ধই এই মত প্রচারে সমর্থ। কিন্তু যত দিন পৰ্য্যন্ত তিনি পূর্ণ জ্ঞানলাভে সক্ষম না হন, তত দিন পৰ্য্যন্ত তিনি বোধিসত্ত্ব মাত্র। কিন্তু মহাযান সম্প্রদায়ের নেতৃগণ আত্মোন্নতির দ্বারা নিৰ্ব্বাণলাভের চেষ্টা অপেক্ষা বোধিসত্ত্ব অবস্থায় জগতের ஒ অসংখ্য প্ৰাণীকে ধন্মের কল্যাণে অভিষিক্ত করা শ্রেয়ঃ মনে করায়, তাহাদের মত বোধিসত্ত্ব বাদে পরিণত হয়। মহাযান সম্প্রদায়ের বৌদ্ধগণ বুদ্ধদেবের শ্যিানুশিষ্যগণকে বোধিসত্ত্ব বলিয়া বিবেচনা করিয়া থাকেন। তাহারা আবার শারী বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বের ন্যায় অশ দ্বারা বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বের অস্তিত্ব স্বীকার রেন । এই অশরীরী বুদ্ধগণ ধ্যানী বুদ্ধনানে খ্যাত। তাঁহাদের মধ্যে অমিতাভ গৌতম বুদ্ধের আশরার প্রতিরূপ। অশরীরী বোধিসত্ত্বগণের মধ্যে অবলোকিতেশ্বর, ময়ু শ্ৰী প্রভৃতি প্রধান । ,