পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৪৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাজি মহম্মদ মসিন । 8VS কীয় ব্যয় ও দাতব্য সস্কুলান হইয়া যাইত। তাহারও কোন সন্তানসন্ততি এবং নিকট কিম্বা দূৱ আত্মীয় ছিল না-সুতরাং উত্তরাধিকারীসুত্ৰে প্ৰাপ্ত মানুজান বিবির সম্পত্তি হইতে বার্ষিক মাত্র ১২৮৫২ টাকা লাভের সম্পত্তি নিজে রাখিয়া অন্যান্য স্থাবর, অস্থাবর যাবদীয় সম্পত্তি ধৰ্ম্মার্থে ও লোক হিতার্থে উৎসর্গ করিয়া দিলেন । তাহার জীবদ্দশায় ও মৃত্যু অন্তে এই উৎসর্গীকৃত সম্পত্তি কাহার দ্বারা কি ভাবে পরিচালিত হইবে-লভ্যাংশই বা কি ভাবে বায় হইবে ইত্যাদি স্থির করিয়া সন ১২১৩ সালে এক তৈনতনামা সম্পাদন করেন। ঐ তৈনতনামা পার্শি ভাষায় লিখিত হষ্টিয়াছিল । শুনিয়াছি, উহা এখনও হুগলী ইমামবাড়ীর দপ্তরখানায় আছে । তৈন তনামার নকল ও তাহার ইংরাজী অনু বাদ হুগলী ইমামবাড়ীর প্রাচীর গাত্ৰে খোদিত আছে । তাহার অনুবাদ নিন্নে দেওয়া গেল “আমি, হাজি মহম্মদ মসিন, পিতার নাম হাজি ফয়েজুল্লা, পিতামহের নাম হাজি ফলজুল্লা সাকিম বন্দর হুগলী । সুস্থ শরীরে ও সুস্থ মনে, স্থির চিত্তে ও ধীর বুদ্ধিতে ইচ্ছা পূর্বক একরার করিতেছি যে, আমার কোন সস্তান সন্ততি কিম্বা শাস্ত্রানুসারে উত্তরাধিকারী হইতে পারে। এমত কোন জ্ঞাতি কুটুম্ব না থাকায় এবং সৎকাৰ্য্য ও হজরৎ অর্থাৎ আমাদের কৌলিক কাৰ্য্য মহামুদ মোস্তাফা প্ৰভৃতির ফাতেহা করা আবশ্যক বোধ করায় জেলা যশোহরের ১ অন্তর্গত সৈয়দপুর ও শোভনালী নামক পরগণার জনীদারী, হুগলী মোকামের ইমাম বাড়ী, এমাম বাজার, হাট এবং ইনাম বাড়ীর দ্রব্য সামগ্ৰী যাহা আমি এযাবৎ ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি, তাহ নিম্নলিখিত মত ব্যয়ার্থে ওয়াকফ অর্থাৎ উৎসর্গ করিলাম । -সেখ। মহামুদ সাদকের পুত্র রাজবাণী সেন্থ ও আহমদ আলী খার পুত্ৰ সাকের আলী খাঁ, উভয়েই বুদ্ধিমান, জ্ঞানবান ও ধাৰ্ম্মিক। আমি ইহাদিগকে উৎসর্গীকৃত সম্পত্তির মোত ওলি নিযুক্ত করলাম। ইহারা উভয়ে ঐক্য থাকিয়া পরামর্শসহ কারে এক যোগে সমুদয় কাৰ্য্য নিৰ্বাহ করিবেন। উৎসর্গীকৃত মহালে সরকারী রাজস্ব পরিশোধ করিয়া যাহা লভ্যাংশ * থাকিবে