পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাময়িক প্ৰসঙ্গ । 8 VO 分 নিকট রুসিয়ার রাজাধিপত্য বারবার নতশির হওয়ায়, রুসিয়া এখন ধূয়া ধরিয়াছেন যে, তাহারা ধৰ্ম্ম-যুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়াছেন। এ ধৰ্ম্ম-যুদ্ধ কি ? সেকালে খৃষ্টীয় জগৎ যেমন মুসল্মানের বিরুদ্ধে ধৰ্ম্মযুদ্ধঘোষণা করিয়াছিলেন, রুসিয়া কি সেইরূপ আবার খৃষ্টাণগণকে বৌদ্ধের বিরুদ্ধে চালনা করিতেছেন ? মাঞ্চরিয়া ও কোরিয়ার খৃষ্টীয় গির্জাগুলি ধূলিসাৎ হইয়া তাহদের স্থানে বুদ্ধমন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার উপক্রম হইয়াছে কি ? অথবা কতদিন হইতে পোর্ট আর্থার প্যালেষ্টাইনে পরিণত হইয়াছে, তাহা আমরা জ্ঞাত নাহি । রুসিয়া যদি এই ধৰ্ম্মযুদ্ধ ঘোষণা করিয়া খৃষ্টীয় জগৎকে বৌদ্ধগণের বিরুদ্ধে উত্থিত করিতে পারেন, তাহা হইলে ধূয়া ধরা সফল হইতে পারে। কিন্তু তঁাহাকে কে না চেনে ? চীনজাপান যুদ্ধের পর জাপানকে বিতাড়িত করিয়া ক্রমশঃ পোর্ট আর্থার হইতে সমস্ত মাথুরিয়ায় যিনি পক্ষ বিস্তারের পর কোরিয়ার দিকে লোলুপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতেছিলেন, তখনই জাপান জাল বিছাইয়া এই বকঃ পরমো ধাৰ্ম্মিকঃটিকে আবদ্ধ করিবার চেষ্টায় প্ৰবৃত্ত হইয়াছে। ফলতঃ রুসিয়ার বকবৃত্তি জগতের সকল জাতির নিকট প্রচারিত হইয়া পড়িয়াছে। কাউণ্ট টলষ্টয় রুসিয়ার এই ধৰ্ম্মভানের বিষয় সুন্দরীরূপে বর্ণনা করিয়াছেন, অবশ্য তিনি জাপানকেও ছাড়িয়া কথা বলেন নাই। কিন্তু জাপান ধৰ্ম্মের ভান করে নাই, সে আপনার স্বত্ব রক্ষার জন্যই দণ্ডায়মান হইয়াছে, একথা মুক্ত কণ্ঠে বলিতেছে। রুসিয়া একথাও বলিতেছেন যে, তাহারা যুদ্ধ করিবেন না বলিয়াই যুদ্ধের জন্য প্ৰস্তুত ছিলেন না, জাপান সহসা যুদ্ধ ঘোষণা করিয়াছিল। কিন্তু জাপান সুস্পষ্টরূপে প্ৰমাণ করিায়াছে যে, ১৯০৩ সালের এপ্রিল মাস হইতে রুসিয়া জলে ও স্থলে উভয় দিকেই বালবৃদ্ধি করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। রুসিয়ার ধৰ্ম্মের ও শান্তির ভান কেবল মৌখিক, আন্তরিক নহে। তিব্বত-অভিযান—দুর্ভেদ্য হিমালয় কালবশে সুভোদ্য হইয়া উঠিল। হিমালয়ের কঠিন শুভ্ৰ তুষারাবলীর পরিবৰ্ত্তে ক্ৰমে বাষ্পীয় কলের কৃষ্ণবর্ণ ধূমরাশি তিব্বতের দিগ দিগন্তে বিক্ষিপ্ত হইবে। তাহার চিরলুকায়িত নির্জন | মঠগুলি এক্ষণে লোকলোচনের গোচরীভুত হইবে, ও তাহার পার্শ্বে ইউরোপীয়