পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩০
আজকের আমেরিকা

সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং ইম্‌পেরিয়েল বিল্ডিং ছাড়া আর কারো সংগে যার তুলনা হয় না।―সেই বিল্ডিং দেখে নয়ন আমার সার্থক হল। আজ আমার পরিব্রাজক-জীবন ধন্য হল―ঠকি নাই বলে, লোভ করি নাই বলে, দেশকে বেচি নাই বলে, ছোট-খাট ভাব আমার হৃদয়ে স্থান পায় নাই বলে। আজ আমি আর নিউইয়র্ক-এ থাকতে চাই না। নিউইয়র্কবাসী তথা আমেরিকাবাসী জেনেছে, ভারতের প্রকৃত পর্যটক টাকায় বশ হয় না, কারু কাছে মাথা নত করে না।

 রকফেলার বিল্ডিং-এ বসবার স্থান যেমন করে করা হয়েছে পৃথিবীতে আর তেমনটি কোথাও নাই। বসবার স্থানটিকে ওডিটরিয়াম বলা হয়। পূর্বকালে এরূপ বসার স্থান গ্রীকরা ব্যবহার করত সেই ধরনে লসএন্‌জেলসে অলিম্পিয়া গড়া হয়েছে কিন্তু রকফেলার বিল্ডিংএ বসার স্থান অন্য ধরনের। এর তুলনা শুধু এরই সংগে হয়। আমাদের দেশের লেখকগণ দিল্লীর বাদসার মসনদের কথা বেশ করে বলে ধন্য হয়েছেন। দুঃখের বিষয় আমাদের দেশের সাহিত্যিকগণ দেশ-দেশান্তর ভ্রমণ করতে যাননি। যদি দিল্লীর বাদসার মসনদের বর্ণনাকারিগণ চীন-সম্রাটের মসনদ দেখতেন তবে দিল্লীর বাদশাকে ফরগণা গ্রামের ফকিরই বলতেন, আর বলতেন ভারতবাসীও দরিদ্রের জাত। চীন সম্রাটের প্রাসাদ, মসনদ এসবের সংগে তুলনা করার মত এমন কোন মসনদ অথবা প্রাসাদ ভারতে গড়ে উঠেনি। তাজমহলের নাম এখানে মোটেই বলা চলে না।

 বর্তমান সময়ের বিশ্ববিখ্যাত তাজমহল কি করে পৃথিবীর সাতটি আশ্চর্যের একটি হয়েছিল। এখানে তা বক্তব্য বিষয় নয়। সময় আসলে তাজমহলের ‘আশ্চর্য’ জিনিসটুকু আপনি প্রকাশিত হবে।

 পুর্তরীকো ভদ্রলোককে সংগে নিয়ে আরও অনেকগুলি বড় বড় অট্টালিকা দেখতে গিয়েছিলাম। অট্টালিকাগুলি দেখে বড়ই আনন্দ