পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



২৪
আজকের আমেরিকা

যোগ দেই। তবে আমরাও যে অত্যাচারিত হব।” এরূপ খাঁটী কথা খুবই কম শুনতে পাওয়া যায়। আমরা ইহুদীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কেবিনে চলে এলাম।

 আমাদের ষ্টুয়ার্ট-ওয়েটারদের তখন অবসর সময় ছিল। তাই তারা সবাই মিলে এই সময়টাতে নানা রকমের বই পড়ছিল। আমাদের কেবিনের কাছেই চিফ ষ্টুয়ার্ট-এর কেবিন। কার কোন বই পড়া উচিত তিনিই সে সব ঠিক করে দেন। সেই বই দেওয়ার ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে দেখলাম একটু। লাইব্রেরীতে ছোট ছোট প্যামফ্লেট ছিল, বড় বড় বইও অনেক ছিল। তার দু-একটির নামও চোখে পড়ল। বইগুলি দেখে মনে হল এই জাহাজ বৃটিশের নয়, রুশ সোভিয়েটের। যত বই সবই সোভিয়েট সংক্রান্ত। অবশ্য এসব বই পাঠ করা আমার মত ইংরেজী জানা লোকের শোভা পায় না। সুন্দর সরল ভাষা। কিন্তু মাঝে মাঝে যে-দুএকটা শব্দ রয়েছে তার অর্থ যদি না বোঝা যায়, তবে সমগ্র বইটা পাঠ করেও কোন গ্যান হয় না। আমি কখনও কাউকে বলি না যে আমার ইংরেজী ভাষায় দখল আছে। তাই যে বইখানা চেয়ে নিয়ে এসেছিলাম তা ফিরিয়ে দেবার বেলা বললাম, “মশায় কিছুই বুঝলাম না।” রুম-ষ্টুয়ার্ট বললেন, “বেশ এতে এমন কি আছে যে বুঝতে পারেন নি?” “ঐ যে দেখছেন একটা শব্দ এর অর্থের সংগে সমুদয় বইটার সম্বন্ধ।” রুম-ষ্টুয়ার্ট হেসে বললেন, “যদি সময় পাই, তবে মেডিরাতে গিয়ে আপনাকে কথাটার অর্থ বুঝিয়ে দিব।” কিন্তু সে কথাটির অর্থ তিনি আর বলেননি।

 আমাদের জাহাজ ক্রমশই মেডিরার কাছে এসে পড়ছিল। এই দ্বীপপুন্‌জ পর্তুগীজ-এর অধীনে। দূর থেকে এর মনোরম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। দ্বীপপুন্‌জের অবস্থান অনেকটা ট্রপিক্যাল আবহাওয়ার মাঝে, তবুও গাছপালা দেখে মনে হয়েছিল এতে পুরা ট্রপিক্যাল আবহাওয়া