পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



আজকের আমেরিকা
২০৩

স্বামী বিবেকানন্দ যেখানে দাঁড়িয়ে বেদান্ত দর্শনের কথা বলে আমেরিকার নরনারীকে মোহিত করেছিলেন সেই স্থানটি দেখতে হবে। ওয়াই. এম. সি. এ-এর প্রচার বিভাগের সেক্রেটারীর সংগে সাক্ষাৎ করে সেই স্থানটির সন্ধান চেয়েছিলাম। আমার প্রশ্ন শুনে সেক্রেটারী যেন আকাশ হতে পড়লেন। অনেক ভেবেচিস্তে বললেন, “এটা কি ঐতিহাসিক গৃহ? এ সম্বন্ধে আমি কিছুই জানি না।”

 প্রচার বিভাগের লোকটির কথা শুনে একটু উচ্ছ্বাসের সহিতই বললাম, “ভারতের এতবড় একজন দার্শনিক, যার নাম পৃথিবীর লোকের মুখে মুখে সদা সর্বদা উচ্চারিত হয়, সেই বিবেকানন্দের কোন খোঁজ খবর আপনারা রাখেন না, সেটা সত্যই দুঃখের বিষয়।”

 “আজকাল কজন খৃস্টান যিশুখৃস্টের নাম নেয়, সে সংবাদ রাখেন কি?”

 “আর কেউ না নিক্‌ অন্তত আপনারা নিচ্ছেন, এটুকু বিশ্বাস করি।”

 “হাঁ, মুসোলিনী হিটলার স্ট্যালিন এখন হয়েছেন অবতার, অতএব যিশুর নাম হয়ত আমাদের ভুলতেই হবে।”

 কথা না বাড়িয়ে ফিরে চলে এলাম। নিজের ঘরে ফিরবার সময় ভাবলাম হয়ত আমরা স্বদেশে বিবেকানন্দ সম্বন্ধে যা শুনি তা অনেকটাই প্রোপাগেণ্ডা। স্নান করে ভাল করে পোষাক পরে খেতে বার হলাম। উপযাচক হয়ে দুএকজনের সংগে ভারতীয় ধর্ম এবং খৃস্ট ধর্ম সম্বন্ধে আলোচনা করলাম। আমার কথা যেন কেউ শুনতে চায় না। সবাই যেন হিটলার আর মুসোলিনীর খবরের জন্য উদ্‌গ্রীব, এ ছাড়া তাদের আর কোন চিন্তাই ছিল না। সুতরাং তর্কবিতর্কের মধ্যে না গিয়ে পথের মানুষ পথেই বেরিয়ে পড়লাম। চলেছি শ্বেতকায়দের পাড়া দিয়ে। আমার মত কালো লোককে নির্ভীকভাবে বেড়াতে দেখে, অনেকেই