পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
আজকের আমেরিকা

ছোট গর্ত খুঁড়ে মাটির নীচে ঘর প্রস্তুত হয়েছে। নেটিভ সাথী আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আগামী যুদ্ধে এইসব ঘর গ্যাসের হাত থেকে তাদের সত্যিই রক্ষা করতে পারবে কি? আমি তার মুখখানা ভাল করে দেখে জিজ্ঞাসা করলাম, “কখনও চেকোশ্লোভাকিয়া গিয়েছেন।” “হ্যাঁ, গিয়েছিলাম” বলে নেটিভ সাথী জবাব দিল। আমি বললাম, “আর আমাকে জবাব দিতে হবে না, নিজেরটা নিজেই বুঝুন।” এ বিষয়ে আমরা আর আলোচনা না করে অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলতে লাগলাম। উপসংহারে গ্যাস সম্বন্ধে আমি যা বলেছিলাম তাতে বলতে বাধ্য হয়েছিলাম যে, সভ্যতার বাইরে যারা আছে, তারাই বাঁচবে আগামী যুদ্ধে, আর সকলেরই একরকম দম বন্ধ হবে যদি গ্যাসের ব্যবহার হয়।

 নিউইয়র্ক রওনা হবার পূর্বে লণ্ডনে প্রায় আট সপ্তাহ কাটিয়েছিলাম প্রত্যেক দিন নানারূপ চমকপ্রদ বিষয়ের আলোচনাতেই কাটত। যেখানে কথা বলবার অধিকার আছে অর্থাৎ স্বাধীনভাবে কথা বললে পুলিস এসে দরজায় ধাক্কা দেয় না, সেখানে আলোচনায় সুখ পাওয়া যায়। প্রায়ই নানারূপ লেকচার শুনতাম, আলোচনাতে যোগ দিতাম, এতে মনে বেশ আনন্দ হত। এখানকার লোক মুখ লুকিয়ে মোটেই কোন কথা বলে না। মাঝে মাঝে ভাবতাম আইরিশরা এত গণ্ডগোল করছে, সেজন্য তাদের পক্ষেই সভা হচ্ছে, বিপক্ষের ত কোন কথাই কেউ শুন্‌ছে না? যা হোক আমার রুমের কাছে একজন আইরিশ থাকত এবং সে এসে নানা কথা বলে বিরক্ত করত। সেজন্য স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। ১৬ নম্বর মর্‌নিংটন্ ক্রিসেণ্ট হতে ১৮ নম্বর বাড়িতে এই কারণেই সরতে বাধ্য হলাম। এ বাড়িটার সামনেই এক বিরাট কারখানা। সেই কারখানাতে “ক্রাভান এ” নামক সিগারেট তৈরী হয়। আইরিশরা এই কারখানাকে আতংকগ্রস্ত করতে চেয়েছিলেন। যে