পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজকের আমেরিকা
১৪১

দেশ স্বাধীন হবে, পাইকারী বাজার হবে এবং তার কাছে ড্রেস করার ফেক্টরী হবে সেদিন ড্রেস করার বাংলা শব্দ আপনি গড়ে উঠবে। ড্রেস করা কাকে বলে এখন তাই বলছি।

 ধরে নেওয়া যাক একজন মাছ বিক্রেতা আধ মণ ওজনের একটা মাছ কিনল। আমাদের দেশ হলে মাছবিক্রেতা শিয়ালদহ হতে সেই মাছটা ঝাঁকায় করে অন্য কোন বাজারে নিয়ে গিয়ে তাই কেটে বিক্রি করত। আমেরিকায় তা হতে পারে না। ঝাঁকায় করে মাছ সহরের ভেতর দিয়ে নিয়ে যেতে দেওয়া হয় না। মাছবিক্রেতা নিকটস্থ ফেক্টরীতে যেতে বাধ্য এবং সেখানে গিয়ে সে মাছটাকে তার ইচ্ছা মত কাটবে আইস ছাড়াবে, ধুয়ে পরিষ্কার করে, জল নিংড়িয়ে ফেলবে, তারপর ওয়েল পেপারে পেক করে খুচরা বাজারে নিয়ে আসবে। ক্রেতা সেই মাছ আর না ধুয়েই কড়াইএ চড়াতে পারে। ক্রেতাকে মাছ কেনার পর বাড়িতে এসে কাটতেও হয় না ধুইতেও হয় না। অন্যান্য জিনিসও ঠিক সে রকমেই ছোট বাজারে আনতে হয়।

 ইংলণ্ডে আস্ত গরু, শূকর ঘরের ভেতর বিক্রয়ার্থ টাংগিয়ে রাখা হয়। অনেক সময় ভেড়ার হাড় সমেত মাংসও দেখতে পাওয়া যায়। আমেরিকার কোথাও সেরূপ দৃশ্য দেখা যায় না। আপার সারকুলার রোডে অথবা হগ মার্কেটে ইংলণ্ডের নমুনা সকলের চোখেই পড়ে অনেকেই সেদৃশ্য এড়িয়ে যান, অনেকে মুখ হতে থুথুও ফেলেন, কিন্তু “বিলেত ফেরতা” বাবুদের ইংলণ্ডে সেরূপ দৃশ্য দেখে থুথু অথবা মুখ ফেরাতে দেখিনি। আমেরিকায় সেরূপ দৃশ্য কোথাও দেখা যায় না। আমাদের দেশে যে সকল গৃহপালিত জীবকে হত্যা করা হয় তা শহরের ভেতর দিয়ে কসাইখানায় নিয়ে যাওয়া হয়, আমেরিকায় তা কখনও হতে পারেনি, ভবিষ্যতেও হতে পারবে না। কশাইখানা সর্বদাই গ্রাম