পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



আজকের আমেরিকা
১৬৯

কিছু কিছু দিত। এটাকে ক্রাইম্‌ বলে না, এটাকে বলে দরবারের অভাব মেটানো।

 আমেরিকাতেও সেরূপই চলে। আমেরিকার ধনীর দল পুলিশের সাহায্যে তাদের ব্যাংক এবং অন্যান্য ধন দৌলত পাহারা দিয়ে রাখে। বেকার মজুর সুযোগ পেলেই লুট করে। এতে নরহত্যা হয়। ক্ষুধা নীরবে কেউ সহ্য করতে পারে না। সুখের বিষয় এই তথাকথিত পাপীর দল ভুলেও কোন খাদ্য ভাণ্ডার লুট করে না, তবে অর্থাভাবে খাদ্য খেয়ে চলে গেলেও অর্থাগমে খাবারের দোকানের দেনা সর্বপ্রথমই মিটিয়ে দেয়।

 একদিন আমি একজন হোটেলের মালিককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই যে তিনটি লোক ভাড়া না দিয়েই রুমে প্রবেশ করল তারা কি পুলিশের লোক? হোটেলের মালিক বললেন এই তিন জন ভদ্রলোক, বেকার মজুর, তাদের হাতে অর্থ নাই, এঁরা যখন কাজ পাবেন তখন তাঁর দেনাই সর্বপ্রথম মিটিয়ে দেবেন বলে মৌখিক প্রতিজ্ঞা করেছেন। এঅন্‌চলে মুখের কথারও মূল্য আছে কারণ ছোট বেলা হতে ছেলেমেয়েরা মুখের কথার উপর নির্ভর করেই চলে।

 ক্রাইম্‌ শব্দটি পুঁজিবাদীদের দ্বারা রচিত। গরীবকে পুঁজিবাদীরাই ক্রাইম্‌ করতে বাধ্য করে এবং পুঁজিবাদীরাই যারা ক্রাইম করে তাদের আইনের সাহায্যে ধরে শাস্তি দেয়। যে সকল পুঁজিবাদী দেশের লোক সৎসাহসী তারা আইনকে অমান্য করতে সকল সময়ই বাধ্য হয়, বিদেশের এবং পরাধীন দেশের লোক পুঁজিবাদীদের দ্বারা পরিচালিত সংবাদপত্র পাঠ করে তাজ্জব হয়ে যায়। যাদের পূর্বপুরুষ শুধু স্বর্গ নরকই ভাবত, তাদের পক্ষে আমেরিকার যুবকদের সৎসাহসের কথা শুনে ঘৃণা হবার কথাই।