সামনা দিয়ে অনেক গাড়ি চলে যাচ্ছিল। অনেকে ভদ্রতা করে আমাকে তাদের সংগে যেতে ডাকছিল কিন্তু আমার মন কিছুতেই কারো সংগে যেতে চাচ্ছিল না। যখন নিউইয়র্ক-এ ছিলাম তখন যারা আমার সংগে অধ্যাত্মতত্বের কথা বলতে আসত তাদের দস্তুর মত গাল দিয়ে বিদায় করে দিতাম, কিন্তু আজ আমারই মনে সেই ভূয়া অধ্যাত্মতত্ব জেগে উঠল কি? যে কোন প্রকারেই হউক আজ আমি পথে দাঁড়িয়ে পথের সৌন্দর্যই দেখব।
সূর্য অস্ত গেল। অন্ধকার আসল। আকাশে তারকারাজি ফুটে উঠল। সন্ধ্যার স্নিগ্ধ বাতাস বইতে লাগল। দু একটা মোটরকার ফুসফাস করে চলে যেতে লাগল। সত্তর আশি মাইল যে মোটরকার ঘণ্টায় চলে তাদের ফুস করে চলে যাওয়া ছাড়া আর কি বলা চলে?
আমাদের দেশের লোকের আমেরিকার ‘হবো’দের সম্বন্ধে কোন ধারণাই নাই। আমেরিকাতে হবোরা বেশ প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল। আমাকেও অনেকে অনেক সময় ভুল করে হবো ভাবত। আবার যখনই বুঝেছে আমি হবো নই তখনই সম্মান এবং ভালবাসা দেখাতেও কসুর করে নি। আমেরিকাতে অনেক ভাবপ্রবণ যুবক পথের ডাক শুনে হঠাৎ বাড়িঘর আত্মীয়স্বজন পরিত্যাগ করে পথে বেরিয়ে যায়। ভাবপ্রবণতা অনেক সময়ই ভুল পথে পরিচালনা করে। আমেরিকার যুবকগণ খামখেয়ালী করে যখন পথে বেরিয়ে পড়ে তখন তাদের কোন উদ্দেশ্যই থাকে না। তবে পথে বেড়িয়ে কি লাভ হবে? কোনো উদ্দেশ্য না দিয়ে যদি খামখেয়ালী করেও পথে বেরিয়ে পড়া যায় এবং কয়েকদিন পর দেশ পর্যটনের একটা উদ্দেশ্য ঠিক করে লোক সমক্ষে তা ধরা যায় তবুও কোনমতে অনেকদিন বেড়িয়ে আসা যায়। আমেরিকাতে যে সকল যুবক পথে বের হয় তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে