পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



আজকের আমেরিকা
৪৩

ভদ্রলোক আমার কথা শুনে সংগে একজন লোক দিলেন, সেই লোকটি আমাকে অন্য এক রুমে রেখে চলে গেল। একে একে সেখানে অনেক অফিসার এলেন। যদিও কেউ কিছু বললেন না তবুও তাদের চাহনি দেখে বুঝলাম সবাই যেন আমাকে প্রশ্ন করতে উৎসুক। কিন্তু আমার প্রশ্নের জবাব না দিতে পেরে একে একে সকলেই চলে গেলেন। অনেকক্ষণ পরে একজন লম্বা এবং গম্ভীর লোক এসে আমায় কাছে বেশ আরাম করে বসে বললেন, “আপনার এখানে আসার উদ্যেশ্য কি?”

 “আজ্ঞে সেরূপ কিছু নয়, তবে বাড়িঘরগুলি দেখলে আনন্দিত হব, হয়তো বই লেখার পক্ষে সুবিধা হবে।”

 “তবে আপনি লেখক, তা কি দেখবেন চলুন।” এই বলেই তিনি চললেন আমি তাঁর পেছনে চললাম। অনেক দেখলাম কোথাও বিভীষিকা নাই। সর্বত্রই সহজ ও সরল ভাব। ভদ্রলোকটিকে জিজ্ঞাসা করলাম, “এখানে থার্ড ডিগ্রি কোথায় দেওয়া হয় সে স্থানটা একটু দেখতে চাই।” ভদ্রলোক বললেন, “থার্ড ডিগ্রির ব্যবস্থা আমাদের শাসিত দেশগুলিতে রয়েছে যেখানে ভয় দেখিয়ে অসভ্যকে সভ্য করতে হয়।” আর দেখতে ভাল লাগল না। বিদায়ের বেলা সেই লম্বা এবং গম্ভীর ভদ্রলোকটির অটোগ্রাফ নিয়ে আসতে ভুলিনি। পথে আসার সময় কেবলই মনে হতে লাগল, সত্যই তো, অসভ্যকে সভ্য করতে হলে ভয় দেখানো দরকার। আমরা কলোনিয়েল দেশের লোক, তবে কি আমরাও অসভ্য?

 এবার আমেরিকার টিকিট কেনার পালা। ভেবেছিলাম, টাকা ফেলব আর টিকিট নিব। কিন্তু আমেরিকা কেন, যে কোনও বিশেষ দেশে যেখানে একটু অর্থাগমের পথ খোলা আছে, সেখানকার টিকিট কিনতে ভারতীয়দের বিশেষ কষ্ট পেতে হয়। বাংগালী ও পলাতক