পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



১৮০
আজকের আমেরিকা

 “এই ধরে নিন ক্যানাডার মত ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস্‌।”

 “এতে কি আপনাদের দেশের লোক সুখী হবে, না হতে পারে? রাজা, নবাব, জমিদার এসব কি রাখতে চান? এতে কি রিয়েল এস্টেট ওনার-এর সংখ্যা বাড়বে না? গরীবের সর্বনাশ হবে না? এতে কি সাদা পুঁজিবাদীদের জায়গায় ব্রাউন পুঁজিবাদীদের বসান হবে না?”

 “তা হোক মশায়, তাতেই আমরা সন্তুষ্ট।”

 “এই ধরে নিন হরিজন, দরিদ্র, এরা কি উন্নতি লাভ করতে পারবে? এরা কি শিক্ষিত হয়েও ধনী হয়েও এ দেশের নিগ্রোদের মত সমাজের উচ্চ স্তরের লোকের সংগে মিশতে পারবে? এরা কি মানুষ বলে গণ্য হবে?”

 “হোক না হোক বয়ে গেল, আমাদের স্বাধীনতা হলেই হল।”

 ন্যাসন্যালিজম এর বেশী এগোয় না। ন্যাসন্যালিজম পুরাতন কথা। পুঁজিবাদী এবং সমাজের শত্রু এতে আত্মগোপন করে সুখে স্বচ্ছন্দে বসে থাকতে পারে।

 রিপোর্টারের সংগে কথা হবার পর শ্রীজগৎবন্ধু দেব বললেন, “ফরগেট ইট” ভুলে যান। আমি কিন্তু ভুলতে পারি নি। কেন যে বলেছিলেন ‘ভুলে যান’ তা আমি বেশ ভাল করেই বুঝতে পেরেছিলাম। আমেরিকায় যত হিন্দু আছেন তাঁরা প্রায়ই জাতীয়তাবাদী। জর্জ ওআশিংটন থেকে লিন্‌কন পর্যন্ত সকলেই জাতীয় ভাবের পূজারী ছিলেন। তাঁদের মতবাদ এখনও আমেরিকার শতকরা সত্তরজন লোক মেনে চলে। তারাই রাষ্ট্রের নীতি ধার্য করে। তাদের নীতি যারা মানে না তাদের তারা কোনওরূপ সাহায্য করে না। যদি দেখে সরকারী তহবিল থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত কেউ তাদের নীতির বিরুদ্ধে চলছে, অমনি তার সাহায্য