পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধাঃ, বেচারা মিছিমিছি। এত কষ্ট করে এল। খুব আগ্রহ নিয়ে এসেছে। রোববার আসতে বলব ? ,卤两 কৈলাস একটু ভেবে বলেছিল, আচ্ছা বসতে বলবে যাও, আজকেই চাষীদের কথাবার্তা শুনিয়ে দিচ্ছি। ছোট ছোট বৈঠক এখানে ওখানে রোজ বসছে দুবেলা, ক’জনে জড়ো হয়ে বসে মন্দ কপালের নিন্দ করতেও: डॉल ब्रां । রসিক বলে, ধরণী ব্যাটা ঘুমোবে বেলা তক। একটু দেরি করেই রওনা দেব মোরা, না কি বল মিঞা ? রসিক লোচনের বোনাই, বারতলার দিকে এগিয়ে সোনামাটিতে তার ঘর। তোরাব একরকম প্রতিবেশী রসিকের, দুজনের বাড়ির মধ্যে ব্যবধান শুধু একটা বঁাশ-ঝাড় আর কয়েকটা কুলগাছের । , দেরি হয়ে যাবে না ? ছুতা করে আজ যদি কার্জ না দেয়। তোরাব বেশ একটু উদ্বেগের সঙ্গেই বলে। ধারণী তরফদার ধান কর্জ না। দিলে কাল-পরশু ওদের দুজনের ঘরেও উপোস শুরু হয়ে যাবে, কিন্তু তোরাবের ঘরে কাল থেকে এক দানা চাল নেই। কৈলাস বলে, দেবার মতলব না থাকলে রাত ; থাকতে গিয়ে ধয়া দিলেও, দেবে না । মতলব থাকলে যখনি যাও মিলবে । সে কথা ঠিক। আগেকার দিনে ধরণীর কাছে কার্জ চাইতে যেতে হলে এরাই হয়তো একজন চুপি-চুপি আরেক জনের আগে গিয়ে নিজের জন্য কর্জটা আগেভাগে বাগিয়ে নেবার চেষ্টা করত। কিন্তু আজ চাষীরা প্রায় সকলেই টের পেয়েছে ওতে কোন ফল নেই, কে আগে এল, তোশামুদে কথা কইল বা কান্নাকাটি করল সে সব বিচার করে না। ধারণী ! যাকে না দেবার তাকে কিছুতে দেয় না, যাকে দেবার তাকে দেয়, সকলকে সমান বাধনে বঁধে । ভাণ্ডারও তার তাদের শুষে শুষে হয়ে আছে অফুরন্ত, মন্বন্তরের রিলিফথানার খয়রাত নয় s