পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপকথার মত মনে হবে সে কাহিনী। কিন্তু যুগযুগাণ্ডের সংস্কায়া থৈয়ার্টার আত্মধর্ষণের ইতিকথায় সে কাহিনী বাস্তব বৈকি। নবজয়েয়া সংগ্রাম যায় মধ্যে প্রচ্ছন্ন অন্ধ আবেগ । TE শুভ তখন ছোট, বারতলা স্কুলের নীচেয়া ফ্লাশের শখের ছাত্র। খুশি স্কুলে আসে, খুশি না হলে আসে না। টিফিনের সময় বোম্বাই আমি ঢুয়ে আঁটিটা সে ছুড়ে মেরেছিল। কৈলাসের গায়ে। বিশেষ ভাবে কৈলাস বলে নয়, কৈলাসের উপর তার কোন রাগ ছিল না। কৈলাস কাছে দাড়িয়ে তার দুধ সন্দেশ আমি ইত্যাদি দিয়ে টিফিন করাটা বেশ খানিকটা কৌতুহলের সঙ্গে চেয়ে দেখছিল বলে। অতটুকু ছেলে, কী কচি আর কোমল মুখখানা, এই সামান্য অপরাধে তার কান মলে লাল করে দেওয়া কী ভীষণ নিষ্ঠুরতা উচু ক্লাশের বয়সে বড় ছেলেয় । কী ভয়ানক অপরাধ । ঢ়িল ছুড়লে পুলিসের গুলি চালাবার তবু একটা যুক্তি আছে। চিল লাগুকি না লাগুক, প্রজা ঢ়িল ছুড়লেই পুলিসের প্রেস্ট্রিজ ধূলিসাৎ হয়ে যায়। কিন্তু জমিদারের বাচ্চা ছেলে প্রজার বয়সে-বড় গায়ে-জোরওয়ালা ছেলের গায়ে একটা আমের আঁটি ছুড়লে তার গায়ে হাত তোলার কোন যুক্তি বা সমর্থন নেই। অতটুকু কোমল ছেলের গায়ে কতটুকুই বা জোর, দামী খাল বোম্বাই আমের ऊँॉछे या श्व कडलू ! হেডমাস্টার বীরেন চাটুয্যে কৈলাসকে কয়েকটা বেত মারলেই বোধ হয় ব্যাপারটা চুকে যেত। কিন্তু মানুষটা ছিল কংগ্রেসের সভ্য, ব্রিটিশ রাজের পাহাড়প্রমাণ বীভৎস অন্যায়ের অহিংস প্রতিবাদী । সেই অপরাধেই মাথার উপর তার বরখাস্তের খড়গ বুলিছিল। এদিকে সেই খড়গটাই আবার ঠেকিয়ে রেখেছিল। জগদীশ ! ঠিক একই অবস্থায় তার নিজের ছেলের কান মলে দিলে কৈলাসকে শান্তি দেবার কথা বীরেন। ভাৰতেও পারত না, কিন্তু জগদীশের ছেলে শুভার কানা মলে রাঙা করে দিয়ে একেবারে রেহাই পাৰে কৈলাস্ক, এটাঞ্জ চাৰা সম্ভব छेिल भी ।