পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওস্ব আমি জানি। তোর জন্যে পয়সা কামাতে গেছে তো ? পয়সা কামাক না কামাক, দম ফেলতে আসতেই হবে। এসে ফের চলে যাক, আসতে হবেই একবারটি । 下 একবারটি এলে হয়।. সবার কাছে মোকে দোষী করে রেখে গেছে! বাত চেছে রাখি, এলেই ক-ঘা লাগিয়ে দিস।। না. সত্যি, মোর কি দোষ বল ? একটা মাকড়ি নিয়ে বেচে দিলে। ভাবলাম, কেমন মানুষরে বাবা, নতুন বোয়ের মাকড়ি বেচে দেয় ! দু-দিন বাদে ফের চাইলে আরেকটা দাও।-- বলেছিস তো অনেক বার, কত শুনব ? আয়েকবার শুনলে কি হয় ? দু-দণ্ড শুনতে গায়ে জর আসে তোমার ? সাদাসিদে কাহিনী । মহিম আবার মাকড়ি চাইলে গাদা গিয়ে শাশুড়ীকে জানিয়ে দিয়েছিল, তোমার ছেলে ফের মাকড়ি বেচিতে চায় গো । তাতে প্রাণে আঘাত লাগে মহিমের। হাতে পয়সা নেই বলেই তো তার এই অপমানপয়সা রোজগার করতে না পারলে সে বাড়িও ফিরবে না, বোয়ের মুখ দেখবে না । শেষ রাতে উঠে সে এক কাপড়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে । কি জন্যে মাকড়ি বেচাবে আগে সেকথা কিছুই জানায় নি গাদাকে, এটাই তার সবচেয়ে বড় আপসোস । বলেছে। পরে, গুরুজনের ধমক খেয়ে ঘরে গিয়ে ঝগড়া করার সময়। ভাগচাষের জোরালো আন্দোলন চলছিল, তারই ফাণ্ডে কার বে। তাগা দিয়েছে, কার বৌ চুড়ি দিয়েছে, গাদাকেও মাকড়ি দিতে হবে। সে কথাটা বললে তো হয় ? মাকড়ি নিয়ে তুমি নেশা করবে না ফাণ্ডে দেবে, গাদ জানবে কি করে ? তুই ঠিক করেছিল। এবার ঘরে যা । তাকে ঘরের দিকে ঠেলে দিয়ে লক্ষ্মী দাওয়া থেকে নেমে যায়। এবারকার যুদ্ধের আগে উন্মাদিনী ছাড়া গায়ের সবচেয়ে দুঃসাহসী মেয়েও এত রাত্রে একলা এভাবে ঘরের বাইরে এক মিনিটের পথও পাড়ি দিতে সাহস পেত না । ভয় RR