পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেদিন छिल इं কৈলাস একটু ওষুধের জন্য নন্দর কাছে এসেছিল। কাল রাত্রে এক ভক্তের বাড়ি মানত পূজার বলির মাংস খেয়ে এসে তার বাবা ত্রিভুবনের খুব পেট ব্যথা হয়েছে। আজকাল মাঝে মাঝে তার কলিক হয়। বয়স যে বসে নেই অন্যের বাড়ি খাওয়ার সময় এটা তার খেয়াল খাকে না। " ত্রিভুবন শ্যামাসঙ্গীতে বিখ্যাত গায়ক, নামকরা সাধকও বটে। তার মুখে শ্যামাসঙ্গীত শুনতে এককালে দশ গায়ের লোক ভেঙ্গে পড়ত। আজকাল বয়স হওয়ায় গলার আর তেমন জোর নেই। তবু এখানে ওখানে, বিশেষত ভক্তদের বাড়িতে, তার নিমন্ত্রণ জোটে প্রায়ই। * তাকে খাইয়ে পুণ্যও আছে নামও আছে। নন্দ পুরিয়া তৈরী করছিল, আগের দিনের হেটমাথা মনমরা শুভর ভাবান্তর দেখে জিজ্ঞেস করে, কি হল ? আমি সত্যি বোকা । কাল ধরে নিয়েছিলাম ওরা বিশেষভাবে আমাকেই জব্দ করতে চেয়েছে-রাগটা ওদের আমার ওপরেই। কিন্তু তা কেন হবে ? নন্দ আর কৈলাস আশ্চর্য হয়ে তার কথা শোনে। গরীবের সব বড়লোকের উপরেই চটা, জব্দ করার সুযোগ পেলে ছাড়ে না । বিশেষভাবে শুভর গাড়ি বলে নয়, অন্য কেউ ওভাবে গাড়ি চেপে গায়ের মধ্যে ঢুকে গাড়ি ফেলে রেখে কোথাও গেলে তার গাড়ির পার্টস খুলে নিয়েও ওরকম তামাস। করত । কাল রাত্রে হঠাৎ নাকি এটা তার খেয়াল হয়েছে। কৈলাসের মুখে হাসি দেখা যায়, কিন্তু কথা সে বলে খুব কড়া। আপনি যে গায়ের লোককে একসাথে ছ্যাবলা আর বাজ্জাত বানিয়ে দিচ্ছেনা! গাড়ি চেপে যেই আসুক গায়ের মানুষ তার সাথেই ইয়ার্কি জুড়বে তাকে জব্দ করার সুযোগ খুজিবে ? বোঝা যায়। গায়ের লোকের মিথ্যে অপবাদে সে চটেছে । কৈলাসকে তুমি বলবে না। আপনি বলবে? শুভকে একটু ভাবতে হয়! নন্দ

  • R