পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই অতি সহজ আর্টটিও কত মানুষের আয়ত্ত হয় না কিছুতেই ! জগদীশ স্বন্তিয় নিশ্বাস ফেলে। তার ভয় হচ্ছিল বিদেশে মাথাই বুঝি বিগড়ে গেছে ছেলের! নন্দকে সে ভাল করেই চেনে। যদিও সেটা দেখা হলে কথা বলে ভদ্রতা রাখার চেনা নয়। এখানে বিশিষ্ট আত্মীয়বন্ধুর মধ্যে কামার জাতের গেয়ে ডাক্তারািটকে দেখে সে মোটেই খুশী হতে পারে নি। সকলকে অবহেলা করে শুভকে কেবল তার সঙ্গে কথা কইতে দেখে রাগে এতক্ষণ গা তার জলে যাচ্ছিল । এবার ভেবেচিন্তে তার কাছে এগিয়ে গিয়ে উদারভাবে বলে, আজ রাত্রে তুমি আমার ওখানে খাবে। নন্দ একটু বিব্রতভাবে বলে, আত্মীয়স্বজনকে যদি শুধু বলে থাকেনজগদীশ তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তার দিকে তাকায়। না, ওখানকার কিছু লোককে বলব ভাবছি। পরে শহরে এসে একদিন আত্মীয়স্বজনকে খাইয়ে দেব। জগদীশের মতে কয়েকদিন শহরে থেকে যাওয়াই উচিত ছিল কিন্তু শুভ আগেই লিখে জানিয়ে রেখেছে যে এরোড্রোম থেকে সে সোজা বারতলা চলে যাবে, সেই ব্যবস্থাই যেন করা হয়। সকলের সঙ্গে কথা বলে সকলকে খুশী করে শুভ ঘোষণা করে, গ্রামের জন্য মনটা ছটফট করছে, আজ তাই চললাম। কয়েক দিনের মধ্যে আসব, আপনাদের সঙ্গে দেখা করব। শহরের আত্মীয়বন্ধুর কাছে বিদায় নিয়ে তারা গাড়িতে ওঠে। মায়া তার সঙ্গে বারতলায় যাবে। জীবনকে ভূদেব তার বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যাবে। জীবন শুভকে আরও একবার বলে, ক-দিন বাদেই আসছি। বাবা । দু-চার দিন থাকব। বেশ তো, আসবেন, সুখের কথা ! *რ. VS