পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গায়ের লোক নয়। কিন্তু কিছু তো নিয়ে যেতে দেখলাম না। চাকা | দুটো দেখা যেত! তাহলে অন্য লোক আগে নিয়েছে-এর দুজন কিছু বাগাতে পারেনি। কী আশ্চর্য ব্যাপার, গায়েও মোটর পার্টস চুরি যায়! খুলল কি করে ? তার ভাব দেখে লক্ষ্মী সশব্দে হেসে ওঠে, আপনারা গা বলতে কি বোঝেন ! গায়ে শুধু হাবাগোবা চাষী ভূত থাকে, মোটর দেখলে দশ হাত তফাত থেকে হা করে চেয়ে থাকবে ? কত রকমের কত লোক এদিক ওদিক যাতায়াত করছে তার ঠিক আছে কিছু ! বুদ্ধি করে গায়ের একজনকে ডেকে গাড়িটা দেখতে বলেও যেতে পারলেন না ! अाधि कि ऊामेि ५qभन्म श्रद ! চার পাচ বছরের একটি উলঙ্গ মেয়ে এসে লক্ষ্মীর আঁচল ধরে টানে, রাস্তার অপর দিকে খানিক তফাতে ছোট কুঁড়েঘরটির দিকে আঙলি বাড়িয়ে দেখিয়ে দেয়। লক্ষ্মী তাকাতেই ঘোমটা টানা একটি বৌ হাতছানি দিয়ে তাকে কাছে ডাকে । বৌটির অর্ধেক শরীর জীর্ণ বেড়ার আড়ালে। লক্ষ্মী এগিয়ে গিয়ে তার কথা – শুনে আসে। শুভ দাড়িয়ে দাড়িয়ে কথা বলার সময় বৌটির শাখাপরা হাত নাড়ার ভঙ্গি চেয়ে দেখে । ফিরে এসে লক্ষ্মী শুভকে বলে, বৌটি দেখেছে, সাইকেল চেপে দুজন এসে চাকা-টােকা খুলে নিয়ে চলে গেছে। কে নাকি একজন হঁক দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল। ওরা বলছে, আপনি ওদের পাঠিয়েছেন, ওরা মিস্ত্রী । কাছেই এক পাড়ায় রোগী দেখে এই পথেই নন্দকে আরেক পাড়ায় যেতে হবে। সাইকেল থেকে নেমে সব শুনে সে মুখ গম্ভীর করে থাকে। শুভ বলে, থানায় খবর পাঠাব না ? न्मन् दाहल, न्मा । লাভ নেই বলছ ? অনর্থক হাঙ্গামা হবে ? হাঙ্গামা তো হবেই। সেজন্য বলছি না। আসলে এটা ঠিক চুরি নয়। এভাবে গায়ের মধ্যে গাড়ি থেকে টায়ার-ফায়ার চুরি করার সাহস চোরের 8s ইতিকথা-৪