পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গজেন কই ? গজেন ? খোড়া গজেন তফাতে ভিড়ের মধ্যে দাড়িয়েছিল, নাম ধরে ডাকাডা "শুনেও সে এক পা এগোয় না। ಸ್ಟ জীবন লোচনকে বলে, গজেনকে বোলো আমি আবার আসব। ক-দিন বাদেই আবার আসব। দুজন পুলিসের কাধে ভর দিয়ে জীবন খোড়াতে খোড়াতে জগদীশের গাড়ির দিকে এগোয়। সারা জীবন ব্রিটিশের পুলিস, তাকে শুধু ধরেছে বেঁধেছে জেলে পুরেছে আর মেরেছে, আজ পয়ষট্টি বছর বয়সে সত্যই তবে তার পুলিসের কাধে ভর দিয়ে চলার সুযোগ জুটল! সে ইচ্ছা করলে এদের দুজনের ওপর চােটপাট করতে পারে, গালাগালি দিতে পারে । ভগবান কি আছেন ? পা মাচকানো থেকে, গায়ে আশ্রয় পাওয়া থেকে, ঘন কুয়াশার সঞ্চার থেকে, আকাশবাতাস সাফ করে আবার জ্যোৎস্না ঢালা থেকে সারা জীবন পুলিস-তাড়িত তাকে পুলিসের কঁধে চড়ে জগদীশের মোটরে ওঠানো পর্যন্ত অঘটন যিনি ঘটাতে পারেন, সেই ভগবান ? যে ভগবানকে বাদ দিয়ে কোন মানে করা যায় না। তার একটা রাত্রির জীবনেরও ? ভগবান কি আছেন ? মাচকানো পায়ের ব্যথাটা কি কমিয়ে দিয়েছেন তিনিই ? কিন্তু ওই যে সারিবদ্ধ মানুষ জ্যোৎস্নালোকে নিম্পন্দ দাড়িয়ে তার হয়ে মোটর গাড়িতে চড়া দেখছে, কয়েক দিন পরে ফিরে এসে এদের একটু , আয়ত্তে আনার চেষ্টা কি ভগবান সফল করবেন ? জনতার জোরে ভাগ্য ফিরিয়ে দেবেন ? SR নবশিল্প মন্দির ভাল না চলায় শুভর বিতৃষ্ণা এসে গিয়েছিল। হঠাৎ সে * বিদেশে চলে গিয়েছিল তার বিজ্ঞানের শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। শুভ বিদেশ থেকে ফিরছে আরও বড় বৈজ্ঞানিক হয়ে, নতুন ডিগ্রি নিয়ে। ১ Vo