পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষ্মীর উচ্ছসিত হাসিই ফেটে পড়ে আগে, তাই মনে হয় সেই বুঝি হাসির তরঙ্গ তুলে দিয়েছে। জীবন শুম খেয়ে ধীরে ধীরে চিবুকে হাত বুলায়। টর্চ জালিয়ে নন্দ আধমরা ভোবাটার পাশ ঘিয়ে একটা ঝোপের আড়ালে সাইকেল সমেত অদৃশ্য হয়ে যায়। উপস্থিত মেয়েপুরুষও এবার গা তোলে, দেখতে দেখতে দাওয়া আর অঙ্গন প্রায় শূন্য হয়ে যায়। আজ যে ঘরোয়াভাবে ভালোমন্দ কিছু বলবে না, পরে একদিন মিটিং ডেকে ভালো করে সব বুঝিয়ে দেবেএকথা জানিয়ে জীবন যেন একবাক্যে বিদায় করেই দিয়েছে মানুষগুলিকে ! তারা আজ দেশবিদেশের খবরাখবরের কাঙালীই বটে। কিন্তু নগদ বিদায়ের কাঙালী।। একদিন কাঙালীভোজন হতে পারে এটুকু পাবার আশায় তারা আর ধন্ন দিতে রাজী নয়। যেদিন ভোজ দেবে সেদিন খবর জানিও, দেখা যাবে। আজ পাত-কুড়োনো ফেলন যা দিতে তাই খুশী হয়ে নিতাম, দেবার যখন গরজ নেই তোমার, আমার ও পাবার গরজ নেই । লক্ষ্মী উবু হয়ে বসে মুখে হাত চাপা দিয়ে হাই তুলে জীবনকে বলে, কিছু মনে করবেন না যেন । সাদাসিদে গোঁয়ে মানুষ সবলক্ষ্মীই যেন সবার আগে হাসিতে ফেটে পড়ে নি । কৈলাস মুচকে হাসে। কিছুদিন ঘটনাচক্রে কলকাতা শহরে কাটিয়ে লক্ষ্মী মস্ত শহুক্সে হয়ে গেছে ! জীবন মাথা হেঁট করে ছিল, ধীরে ধীরে মাথা তুলে বলে, কিসের জোরে রাগ করব মা ? আমার সব গুলিয়ে গেছে। এরা মিটিং চায় না কেন ? কে বললে চায় না ? - কালকেই তো মস্ত মিটিং ইক্টিশানের ডাঙা মাঠেসবাই ভিড় করে যাবে। তবে শুধু মিটিঙে কি পেট ভরে ? মুখোমুখি সোজাসুজি কথাও শুনতে চায়। দেখুন না কেন, আজকে বললে আপনি যেমন করে যেসব কথা কইতেন, মিটিঙে কি আর সেভাবে কইবেন ? বক্তৃতা শুনতে চায় না ? কৈলাস বলে, কেন চাইবে না, আরও বেশী শুনতে চায়। শুধু ছাকা বক্তৃতা "শুনতে চায় না। শুধু মিটিঙে বলবেন আর SI