পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভালবাসা হয়েছে ? কিছু না বলে তোমার শালা পালিয়ে আসার কি দরকার পড়ল! : , . . . . . . . কে বললে পালিয়ে এসেছি ? পরিষ্কার বলে এসেছি কাজকষ্মের খোজে যাচ্ছি। এখন কোথায় থাকি কি করি তা জেনে তাদের কি দরকার? : ক-দিন ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছিল এদিক ওদিক। শনিবার এসেছিল। কৈলাসের গায়ে ফেরার সময়। আবার তাকে কথা দিতে হয়েছিল। কৈলাসকে , যে তার বিষয় বাড়িতে কিছু জানাতে পারবে না। এ বিষয়ে বেশ খানিকটা ভাবতে হয়েছিল। কৈলাসকে, বিশেষ করে ভয়ার্ত অপরাধ আর বিপন্নতা বিষন্নতার প্রতিমূর্তি গাদাকে দেখার পর। তার সঙ্গে অন্য সকলের ভয়ভাবনাও দূর fকরতে পারে-অন্তত চুপি চুপি গাদাকে জানাতে পারে মহিমের খবর। মহিমকে কথা দিয়েছিল বলেই কৈলাসের মাথাব্যথা ছিল না, বিচার-বিবেচনা বাদ দিয়ে যন্ত্রের মত সব কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে এই গ্রাম্য কুসংস্কারে বহুকাল থেকেই আস্থা নেই কৈলাসের। বিচারের বিষয় ছিল শুধু এই সে বাড়ির সকলকে জানাক বা শুধু গাদাকে জানাক-তার নিষেধ মেনে নিয়ে ে :- কি ওরা চুপচাপ থাকতে পারবে ? ইচ্ছামতী কি টিকতে দেবে বাড়ির মাতুষকে ? শুধু গাদাকে জানালে এখনকার মনের অবস্থায় সেও কি গোপন রাখতে পারবে কথাটা ? কৈলাস জানত, মহিমকে ফিরিয়ে আনতে গেলে ফলটা হবে খারাপ । শেষ পর্যন্ত চুপচাপ থাকাই ভালো মনে করেছিল। কৈলাস। ছেলেমানুষি করেছে মহিম কিন্তু সময় সময় ছেলেমানুষকে ছেলেমানুষি করার স্বাধীনতা না দিয়েই বা উপায় কি ? মানুষের ভুল করার অধিকারকে পর্যন্ত তো মানতে হয় সংসারে ! ঘটনাচক্রে মহিমের সঙ্গে তার যোগাযোগ ঘটেছে, এইমাত্র । মহিম তার ॥ কাছে না গেলে নিজের জীবন নিয়ে তার নিজস্ব পরিকল্পনা আর পরীক্ষায় হস্তক্ষেপ করার কোন প্রশ্নই উঠত না ! সে তাই শুধু ভরসা দিয়েছিল। সকলকে। গাদাকেও। ব্যাপারটা তুচ্ছ করে So