পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনের খোঁজে পুলিশ না এলে সে রাত্রে কি ঘটত ? যেদিন লোচনের পা খোড়া হয়েছিল গুলিতে, সেইদিন অফিসার গণেশ সর্বনাশ করেছিল লক্ষ্মীর। মাথায় রিভলবার ঠিকে তাকে অজ্ঞান করে। সেদিন পর্যন্ত লক্ষ্মীর ধারণা ছিল না যে কোন মেয়েমানুষ সায় না দিলে কোন পুরুষ তাকে ভোগ করতে পারে। কৈলাস যদি না দীর্ঘ দিন ধরে প্রমাণ দিত যে পুরুষমানুষও মানুষ হয়, প্রাণের জালায় নির্ম্মফল আক্রোশে বিকারের তীব্রতায় ছিন্নভিন্ন হয়ে ঘেত লক্ষ্মীর জীবন-তাকে নিয়ে হয়তো ছিনিমিনি খেলত কয়েকটি মানুষ । কৈলাস তার মানুন্যত্বে বিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে। বড়ই মায়া হত। লক্ষ্মীর । সারা দেশের হর্তাকর্তাবিধাতাদের পোষা একটা পশু ইচ্ছা জাগা মাত্র বন্দুকধারী পাহারা দাড় করিয়ে নরকের বাসর রচনা করে অনায়াসে তাকে ভোগ করুল-আর এ বেচারী স্রেফ মনুষ্যত্বের খাতিরে তার মানসিক সায় পেয়েও হাতটা চেপে ধরে তাকে বিব্রত করে না । লক্ষ্মী নিজেই উদ্যোগী হয়ে সুন্দরীর সঙ্গে কৈলাসের বিয়ে দিয়েছিল। কৈলাস শুধু বলেছিল, বিয়েটিয়ে করে সুখ পাব কি ? লক্ষ্মী বলেছিল, কেন পাবে না ? সুখ কি বাজারে সের দরে বিক্রি হয় ? দশজনে করছে তুমিও সংসার করে। সংসার ছাড়া ছিষ্টিছাড়া সুখ খুজো না। এতকাল পরে সেই সুখ কি খুজেছিল। কৈলাস কুয়াশার রাতে ? একটা কথা বলা দরকার ভেবে পরের রবিবার সকালবেলাই লক্ষ্মী তার খোজে যায়। তামাক পাতা এবার ভাই-এর মারফত পাঠিয়েছে কেন সেটাও জিজ্ঞাস্য ছিল । বাড়ির লাগাও তরকারির ক্ষেতে কৈলাস কাজ করছিল। সপ্তাহে একদিন