পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুন্দর, বক্তৃতার আমেজ আছে! বাকিটা সত্যই আন্তরিক। গজেন বলে, अनिमांद्र त्रिनेि फ़िनेि अब कद्ध চিনি চিনিই মন করবে। এখন আর চিনবে কেন? দরকার কি ! মানুষটা আর দাড়ায় না, হন হন করে চলতে শুরু করে। ধীরে ধীরে কুয়াশ ঘন হচ্ছে, আরও অস্পষ্ট হয়ে এসেছে জ্যোৎস্না । দেখতে দেখতে সেই কুয়াশার সঙ্গেই ছায়ার মত মানুষটা মিলিয়ে যায়। সুরমা বলে, কী মেজাজ গো বাবা ! সত্যি চেনা নাকি ? গজেন বলে, চেনা চেনা যেন লাগিল । সনাতন এতক্ষণে বলে, ভাবলাম দুটো কড়া কথা শুনিয়ে দি। অন্ত মুখ কিসের ? তা, কেমন যেন মায়া হল ! সুরমা হেসে বলে, মায়া হল তো মাগনী দুটো সন্দেশ খাইয়ে দিলে না কেন ? গজেন তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে। তাকেও খুড়িয়ে খুড়িয়ে পাড়ি দিতে হবে এই পথে । ছোটখাট যে চাষীপাড়ায় তার ঘর, এখান থেকে এক মাইল পুরো হবে না। কিন্তু নেংচে নেংচে গিয়ে পৌছতে তার প্রায় এক ঘণ্টা লেগে যাবে। পয়সার থলিটা কোমরে বাধা ছিল, চালের ছোট্ট পুটুলিটা ছেড়া চাদরের আস্ত কোণটাতে বেঁধে কঁধে ফেলে, বেগুন দুটোর বেঁটা বাকিয়ে কোমরে গুজে দু-হাতে মোটা লাঠিটা বাগিয়ে ধরে সে খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে রওনা দেয় ঘরের দিকে । দিনের বেলা এখান থেকে তার ঘরের পাশের তালগাছ কটা চোখে পড়ে । গুলি লেগে পা-টা খোড়া হবার আগে কত সংক্ষিপ্ত ছিল এই পথটুকু। দিনে দশবার যাতায়াত করলেও মনে হত না পথ হাটা হয়েছে। আজি কত দীর্ঘ হয়ে গেছে। পথটা তার কাছে । পাড়ার কাছাকাছি পৌছে গজেন পথের পাশ থেকে ডাক শোনে, কে যায় ? একটু শোন ভাই, শুনে যাও। মনে হয়। সেই মানুষটার গলা, তবু গজেন শক্ত করে মোটা লাঠিটা বাগিয়ে 9.