পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তরফদার ? আজি ধানের দর কোথায়ী ফসল গুঠার আগে, ফসল উঠলে তা কোথায় নেবে যাত্রে। চার আনা সুদ !-বিনা জুদে এই কড়ারে যান কার্জ মিলে, দেড়ভাগি হিসাবেরও অনেক গুণ বেশী ফিরিয়ে দিতে হবে ধারণীকে । ব্যাটা श्रुटियांस्त्र ७ांकड । রাখাল বলে, আজকের চােরাবাজারি দরে মোরা ধান নিতে পারি কঁক্ত ? চার আনা সুদে ? তবে দেড়ভাগি হিসেবে নাও । পুলিন যেন হাফ ছাড়ে, ধরণীর চলতি দরের হিসাবে কার্জ দেবার প্রস্তাব শুনে তার মাথা ঘুরে গিয়েছিল! তাই দেন কত্তা, তাই দেন । রও দাদা, রিও । তড়ফিও না অতি -তোরাব বলে ধমক দিয়ে, দেড় ভাগির কার্জ মোরা ছোব না কেউ । বটে না কি ? মুচকে হাসে ধরণী, তুমি দেখছি নেতা হয়ে উঠেছ তোরাব। তা হস্থিতম্বিটা ফজলু মিঞার হােতা করলে তত না ? জাতভাই ছিল, তারিফ করত ? I গরীব চাষার জাতভাই ! তোরাবের এই কথার পিঠে কথা চাপিয়ে খোচা দেবার স্পর্ধায় অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয়ে ধরণী, দুবার গলা-খাকারি দিয়ে গভীর মুখে তামাক টানতে থাকে। তার ভাবটা এই যে, এতই যদি তেজ তোমাদের, আমার কাছে এলে কেন বাপু ? এক কাজ কেন করেন না। সামান্ত মশায় ? রাজেন দাস বলে মধ্যাস্থের ভঙ্গিতে, ছাআন মেনে নেন। দেড়পো ভাগেই ধানটা দিয়ে প্রাণটা বঁাচন গরীবদের । আপনার কথাও থাক, মোদের কথাও থাক । বাজারে যেন দর্য করছে জিনিসের । তোমার কাছে দুআনা কিছু না রাজেন দাস, রাখাল বলে, তোমার ভাত খায় কে। ওই দুআমায় মোদের মরণ-বাচন । ክሎ8