পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দ যাতে এই উৎসবে যায়। সেজন্য শুভ পিড়াপিড়ি করে। নন্দ বলে, তুমি ক্ষেপেছ? বিশ্রী বেখাপ্পা হবে না? সবাই ভাববে না। ইৈিসদের মধ্যে এ বকট আবার কে এল রে বাবা! মেশাল গ্রীতিসম্মেলন হত, আমার মত আরও দশজন হাজির থাকত। সে ছিল আলাদা কথা। ... . .

  • নন্দ হাসে।--আমার জামাকাপড় পর্যন্ত নেই, গােঁয়ে বেশে যেতে হবে। তোমার বাবা ক্ষেপে যাবেন, ঘরের চালায় আগুন লাগিয়ে দেবেন। আমার।

? তুমি ছদ্মবেশে যাবে। আমার পোশাক তোমায় ঠিক মানাবে।, কেউ টেরও পাবে না তোমার শুধু একটা দুটাে লংক্লথের পাঞ্জাবি সম্বল। । কিন্তু আমি যে চালচলন রীতিনীতি কিছুই জানি না ভাই ? ময়ূরপুচ্ছধারী কাকের দশা যদি হয় ? শুভ নাক সিটিকে বলে, সাধে কি বলি গেয়াে হলেই ভীতু হয় ? তোমরা ভীতু বলেই শহুরে বড়লোকরাই শুধু এদেশে নেতা হয়। নন্দর রং কালো, ছেলেবেলার বসন্তের কিছু কিছু দাগ থাকলেও তার মুখের গড়নটার মধ্যেই একটা অদ্ভুত জীবন্ত ভাব । টানা না হলেও তার যেরকম বড় বড় চোখ সেটা কেবল বিশেষ জাতের বুনোদের আর মাঝে মাঝে ধাঙ্গর মেথর মুচিদের মধ্যে ছাড়া চোখে পড়ে না। * চোখে ভং সিনা ফুটিয়ে রেখে নন্দ বলে, ভীতু ? গায়ের লোক ? তুমি জটিল কথা বোঝা সহজ কথা বুঝতে পার না। এ পর্যন্ত শহুরে বড় বড় লোক নেতা হয়েছে সত্যি । তাতে কোন ভুল নেই। কিন্তু নেতা কি তারা হয়েছে । টাকার জোরে সাহসের জোরে কালচারেব জোরে ? গেয়ে লোকের সাহসটাই তাদের একমাত্র জোর। একজন নেতার নাম কর তো গায়ে ভীতু মানুষেরা। পিছনে না দাড়ালেও যিনি নেতা হতে পেরেছেন ? নেতারা শুধু জেলে যান, গেয়ে লোকেরা প্রাণা দেয় । শুভ একটা সিগারেট ধরিয়ে বলে, তুই সত্যি ভারি ঝগড়াটে। তুই তো ঝগড়া বাধাস। নন্দর বোন গঙ্গা চা এনে বলে, তোমাদের ঝগড়া হচ্ছে নাকি ? 》)象