পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দূর থেকে জন লেভেল ক্রসিং-এ ভিড় দেখে জগদীশ উৎফুল্প হয়ে ওঠে। এ জমায়েত নিশ্চয়, তার ছেলেকে অভিনন্দন জানাবার জন্য ! খবরটা সে যতদূর সম্ভব ছড়িয়েছে, অনুগত সকলের কাছে একরকম মুখ ফুটে প্রকাশও করেছে যে এরকম একটা কিছু অভ্যর্থনার আয়োজন করলে সে সুখী বই অসুখী হবে না !! . গ্রামে না করে। এতদূর এগিয়ে লেভেল ক্রসিং-এ এসে সবাই দাড়িয়েছে এটা আরও আনন্দের ব্যাপার। দেখা যায় আনন্দে উজ্জল হয়ে উঠেছে শুভর মুখ । কাছে গিয়ে দেখা গেল, ভিড় অন্য কারণে। একটি ছেলে ট্রেনে কাটা পড়েছে কিছুক্ষণ আগে । ভুল বাগদীর ছেলে বলাই। গাড়িটা থামানো যায়নি। বারতলা স্টেশনেও এ ট্রেনটা দাড়ায় না। ছেলের মৃতদেহের পাশে কোমরে হাত রেখে গাড়িটা যেদিক অদৃশ্য হয়ে গেছে সেই দিকে মুখ করে সামনে ঝুকে দাড়িয়ে ভুল চিৎকার করে অভিশাপ ও গালাগালি দিয়ে চলেছে । নন্দ বলে, আমি এখানে নামিব। শুভ বলে, আমিও নামিব। এ কি অ্যাবসার্ড ব্যাপার । একটা মানুষ কাটা পড়ল, গাড়িটা দাড়াল না পর্যন্ত ! এর ব্যবস্থা করতেই হবে। জগদীশ বলে, দাড়াও আমি দেখছি! গদা, ছুটে গিয়ে স্টেশন মাস্টারকে ডেকে আন তো-বলিস-আমি ডাকছি। কে জানত বলাই এত ভাগ্য করেছিল যে স্বয়ং জগদীশের বাপব্যাটায়। তার ছেলে ট্রেনে কাটা পড়ার পরবর্তী ব্যবস্থার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। গালাগালি বন্ধ করে ভুল মুখ গোমড়া করে দাড়িয়ে থাকে-জগদীশের সামনে তার হাত দুটি আপনা থেকে জোড় বেঁধে গেছে। তার বা হাতের একটি আঙ্গুল কাটা। অনেক দিনের কথা, বারো চোদ্দ বছরের কম নয়, জগদীশের সামনে তারই হুকুমে আঙ্গুলটা কেটে ভুলাকে এক .80