পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মে যা কিছু করা দরকার সবই অবশ্য করা হয়েছে। ফাড়া একেবারে বাতিল করার কোন প্রক্রিয়া জগদীশ করতে দেয়নি।--তার বিশ্বাস, দৈৰ একেবাৰে খারিজ করা যায় না। বিপদ একটা শুভর ঘটবেই। মানুষের সাধ্য নেই। ঠেকায়। তবে, বিপদের রকমটা মানুষ বদলে দিতে পারে। ছোটখাট অসুখবিমুখ হোচট খাওয়া আঙলি কাটার উপর দিয়ে কঠিন। ফাড়া উতরে যাওয়া যায়। তবু একটা স্থায়ী আতঙ্ক আছে জগদীশের। বলা তো যায় না। যা কিছু করার করিয়েছে সে নিজে, শুভকে দিয়ে কিছুই করানো যায়নি। ছেলেবেলা করানো গিয়েছিল বছর বছর । কলেজে পড়তে শুরু করার পর কী তাড়াতাড়িই যে অবিশ্বাসী নাস্তিক বনে গেছে ছেলেটা ! বাইরে বেরিয়ে সুস্থ দেহে শুভ বাড়ি ফিরেছে, এইটুকুই জগদীশ Ve(No. 5 দৈবের অবশ্য ঘরে বাইরে নেই। লোহার ঘরেও দৈব সাপ হয়ে এসে মানুষকে কামড়ায়। তবে, বাইরে চোখের আড়ালে কিছু ঘটেনি এইটুকু জানার জন্য জগদীশের ব্যাকুলত । সন্ধ্যা-পূজার পর জগদীশ নিজের ঘরে স্তব্ধ হয়ে পবিত্র সোমরসের পাত্রটি নিয়ে বসে। জিনিসটা বিলাতী বটে। কিন্তু ঢাকা-দেওয়া পাথরের পাত্রে ঢেলে শুদ্ধ করে নেওয়া হয়। যৌবনের উদ্দাম ভোগের এটা জের। কয়েকবার আনুষঙ্গিক অসুখে ভুগেছে। শরীরে আর সাধ্য নেই। সন্ধ্যার পর ঘরে বসেই পান করতে করতে একটু সতেজ বোধ করা, একটু আবেশ-উদ্দীপনা লাভ করা, এর বেশী আর কিছু চায় না জগদীশ। সাধারণভাবে খারাপ শরীরটা আজি একটু বেশী খারাপ ছিল জগদীশের। শ্বেত পাথরের গেলাসে তাই একটু ঘন ঘন ঢেলে বেশী পান করা হয়ে যায় কম সময়ের মধ্যে । এ সময় জীবন দেখা করতে চাওয়ায় সে বড়ই বিরক্তি বোধ করে । দেবেনও প্রার্থনা নিয়েই আসে। কিন্তু একটা পাত্রে একটু সোমরস ঢেলে এগিয়ে দিলে সে কৃতার্থ হয়ে পান করে। তাকে সহ করা যায়। জীবন এমন ভাব করে যে খাওয়া দূরে থাক জিনিসটার গন্ধ নাকে যাওয়ায় যেন শুধু RVER