পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাসন-টাসনে কাজ নেই। দিনের বেলা একটু ইদিক উদিক যায় যদি তো যাক। লক্ষ্মী টো-টো করে বেড়াবে, দিন নেই রাত নেই, এইটুকুর জন্যে ওকে কি বলে শাসন করবে। গো ? ওমা! লক্ষ্মীর সাথে ওর তুলনা ? লোচন বলে, তুমিই শুধু অবুঝ রইলে বাছ। ঘনরাম বলছিল এবার ধান কেড়ে নিতে এলে হাঙ্গামা হবে দর নিয়ে। ছুড়ি যদি বেঁকে বসে, যদি বলে ধান পাহারা দেব, সোয়ামীর কাছে জেলে যাব ? কী বলে তুমি ঠেকাবে ওকে ? বেঁধে রেখে ঠেকাতে পারবে ? ঘনরামকে বলতে গেলে সে খানিকক্ষণ নিজের মনে হুকেই টেনে যায় । হকো নামিয়ে বলে, নাং, কিছু বলতে হবে না। নিজের মনে আছে থাক, নজর তো রাখাই হচ্ছে । দয়া রেগে বলে, আমি পারব না। নজর রাখতে। তুমি সামলাবে তোমার ভায়ের বৌকো। তাই সামলাব নে, তোর অন্ত মাথাব্যথায় কাজ নেই। খুব মজা লাগবে না ? এক থাবাড়া মারব কিন্তু দয়া। যার বৌ সেই নিজে বলে পাঠিয়েছে, মােদের অত বাহাদুরি কিসের। । শুনে সব ভুলে যায়। দয়া । বলে, বলে পাঠিয়েছে ? ছোট কত্তা নিজে ? কবে গো বলে পাঠাল ? ঘনরাম ধীরে ধীরে বলে, ধান নিয়ে বিষম হাঙ্গামা হতে পারে। বাবা বললে কি, নিজেও ভাবলাম কি, বাপের বাড়ি নয় তো অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেব নাকি জিজ্ঞেস করলে হত মহিমকে। পাগলাটা জানিয়েছে কি জানো ? ওর বেী যদি পালায়, জীবনে আর মুখ দেখবে না বৌয়ের। দয়া ধাধায় পড়ে বলে, কি করে খবর দিলে ? মোদের না খবর দেয়ানেয়া বারণ ? জেলে গেছে মোরা জানি টের পেতে দেওয়া চলবে না ঠাকুরপোকে ?