পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরুষ মানুষ, তাই তার কথা আলাদা। কৈলাসকে যদি কেউ বলে দিত। এদেশে বুদ্ধদেব থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত শুধু পুরুষরাই আদর্শের জন্য কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ করার অধিকার পেয়ে এসেছে—এ ব্যাপারটার সঙ্গে তার বুক বাধাই আছে বলার ধরনের বড় বেশী মিল—তার ফুলে-ওঠা বুকটা নিশ্চয় চুপসে যেতে খানিকটা ! গাদাকে পাশে নিয়ে লক্ষ্মী রাতে শান্ত হয়ে ঘুমায়, ছেলেমানুষ গাদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘুমায়। সে যেন প্রমাণ দেয় যে সংযম না ছাই, সংযম মানেই বঞ্চিত বিকারগ্রান্ত মানুষের অসংযমের তাড়নার সঙ্গে লড়াই করে ক্ষতবিক্ষত হওয়াসুস্থ স্বাভাবিক জীবন হলে মানুষের কাছে সংযম কথাটার মানেই দাড়িয়ে যেত অন্য রকম। ওই রকম জীবনের জন্য মানুষের বড় লড়াইকে শুধু ঠিকমত খাতির করেই নিজের জালায় ছটফটানোর বদলে মানুষ দিব্যি অচেতন হয়ে ঘুমোতে পারে! মন শান্ত হয় না। কৈলাসের। লন্ঠনের আলোয় তার চোখে পড়ে বেড়ায় টাঙানো বাংলা ক্যালেণ্ডারের রঙিন ছবিটার দিকে-বটতলার একটি জনপ্রিয় ছবি ছাপানো হয়েছে—ঘুমন্ত বৌকে ছেড়ে রাত্রে নিমাই-এর গৃহত্যাগ । খাটে ঘুমন্ত বিষ্ণুপ্রিয়া। এ ছবি দেখে কৈলাসের শুধু মনে হত, পাচ ছ-শো বছর আগে একালের তঁাতের শাড়ী বিষ্ণুপ্রিয়ার দেহে কি করে উঠল, একালের ঢং-এ শাড়ী পরাই বা তাকে কে শেখাল, এরকম সাজসজ্জা করে তখনকার বৌদের, বিছানায় শুয়ে ঘুমানো রীতি ছিল কিনা। ছবিটা আজ তাকে মনে পড়িয়ে দেয়। অন্য কথা । চৈতন্যদেবের আদর্শ কি ছিল আর কেমন ছিল সে কথা নয়, প্রায় তারই মত বৌ না হলেও বৌয়ের বাড়া লক্ষ্মীকে সে যে আজ আদর্শের জন্য ত্যাগ করেছে, একথাও নয় । সন্ন্যাসী হওয়ার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়েছিল চৈতন্যের । দেশ প্রস্তুত ছিল, সময় RCS