পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগদীশের তখন বয়স ছিল তেজ ছিল উৎসাহ ছিল। জগদীশ নিজে গিয়েছিল নিজের চোখে ব্যাপার দেখতে । ব্যাপার দেখে হুকুম দিয়েছিল, যা, হারামজাদাটাকে শ্মশানে ফেলে দিয়ে আয় গে। শকুনে ছিড়ে ছিড়ে খাবে আইন-ভীরু কে যেন কেঁউ করে উঠেছিল, আজ্ঞে ? জগদীশ বলেছিল, তোদের ভয় কি ? ওকে তো খুন করেছি। আমি। ফাসি হয় আমার ফাঁসি হবে, তোদের কি ? বলে কাটারিটা তুলে নিয়ে ভবতারণের রক্ত হাতে মেখে বলেছিল, যা, নচ্ছারকে ফেলে দিয়ে আয় শ্মশানে। আর শোন হরিশরণ, তুমি আমার এক নতুন কাজে বাহাল হলো। নতুন যে নায়েব হবে তুমি তার কাজকম্মো হালচাল দেখে আমার কাছে রিপোর্ট করবে। দুজনে তোমরা মাইনে পাবে। সমান । জানিস শুভ ? বৌটা কোন প্রায়শ্চিত্ত করেনি, কোন ঠাকুবাদেবতার পূজো। করেনি। সকালে বিকেলে শুধু স্বামীর চরণামুত খায়। যা রাধে নিজের জন্য কিছু রাখে না । হরিশরণ হুকুম দেয়। তবে মাছ-ভাত খায়। হরিশরণ দোতলা বাড়ি করেছিল তুই তো দেখেছিস । এমনিভাবে পুরুষকারের কাহিনী শুনিয়ে গেছে সাবি শ্রী। সে জমামার সিগারেট ছাড়ার বীরত্বের সঙ্গে হরিশচন্দ্রের সর্বস্ব দান করা থেকে তাদের ‘গোমস্ত হরিশারণের আততায়ীর গলায় কাটারি মারা- এমনি সব এলোমেলো বাস্তব অবাস্তব কাহিনী । মোট কথাটা বুঝে শুভ যাতে বুকে বল পায় যে ব্যাটাছেলের কথন কি অবস্থা হবে শুধু দৈবই জানে, ব্যাটাছেলে কিন্তু সব অবস্থাতেই শক্ত থাকে। আরেকটু মনোযোগ দিয়ে যদি মার কথাগুলি শুনত ! জীবনের কত শত শত ঘণ্টা সময় নিম্বফল বাজে চিন্তায় নষ্ট করেছে, একটি ঘণ্টা ধৈর্য ধরে যদি ভেঁাতা। সাধারণ সেকেলে মার কথাগুলি বুঝবার চেষ্টা করত ! কে জানে মা তাকে নিজের ভঙ্গিতে আরও কত দামী দামী কথা বলে গেছে ? R8 R