পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হ্যা, ওরকম ঘটতে পারে। শুদ্ধ পবিত্র ব্রাহ্মণ গুরুঠাকুর, বিয়ের আগে সেদিন পর্যন্ত যার মনে কোন রকম মন্দ ভাব আসা সত্যসত্যই অসম্ভব ছিল-পুকুরঘাটে তাকে নাইতে দেখে সেই দেবতা মানুষটার মাথাও হঠাৎ বিগড়ে গেল। দয়া নিজেই ঘনরামকে বলেছে যে, না, এটা দোষ নয় পুরুষ মানুষের। ভগবান এমনি ধারা বিধান করেছেন, যত পুরুষ আছে সবার জন্য করেছেন, পুরুষের করবে কি ? কিন্তু এই খুতখুতানিটাই সব নয়, আসল কারণ নয়। লক্ষ্মী আছে, শাশুড়ী আছে, গাদা নিজে শক্ত তেজী মেয়ে, ঘটনাচক্রে যদি কিছু ঘটে শুধু সেই সুদূর সম্ভাবনাকে খাতির করে দয়া বাপের বাড়ি যাওয়া খারিজ করত না। একটু খুতখুতানি নিয়েই কবে সটান রওনা দিত। ঘটনার পর ঘটনা ঘটেছে। শুধু গায়ে নয়, আশেপাশে নয়। শুধু গজেনের পা খোড়া হওয়া নয়, লক্ষ্মীর গায়ে বঁটা দেবার ব্যাপার নয়, মহিমের ঘর ছাড নয় ! একেবারে বাদ যাক না। এই বড় বড় বিশেষ ঘটনাগুলি—ধরা যাক এসবের একটাও ঘটেনি কোনদিন । সেদিন রাতে হঠাৎ জীবন এলে যা কিছু ঘটেছিল, জীবনের পায়ের জন্য চুনহলুদ গরম করে ভাত আর মাছের ঝোল রোধে খাওয়াতে হয়েছিল--তাও নয় वांख्लि Cश्iक । আজ রাতের মতই সাধারণ ঘটনা। কত রকমভাবে যে ঘটে আসছে। কতকাল ধরে । ঘনরাম কি ভালবাসে দয়াকে ? জোয়ান চাষার জবর ভালবাসা বুঝি সময় সময় জমির জন্যে নিরেট ভালবাসাকেও ছাড়িয়ে যায়। কথা কইতে কইতে কলকের তামাকটুকু পুড়ে গেলে ধীরে ধীরে সে আরেক চিলুম তামাক সাজে, চোখ তুলে তুলে দীপের আলোয় সে দয়ার দিকে চায়। কলকের আগুনে ফু দিতে দিতে তাকায়। আগুনের মৃদু রাঙা আলোয় এবার যেন ছবির রাজার মুখের মত তেজবীর্যে ভরা মনে হয় শ্রান্ত মুখখানা দয়ার কাছে-চাউনি দেখে Vsto (3iasto R3 RSS R.