পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার বমি আসছে মা, সারা জীবন অহিংস দেশসেবার পুণ্যটা পর্যন্ধ, কোন পােচ । যাচ্ছে ! জীবনের এলোমেলো বেশ, শুকনো শীর্ণ মুখ দেখে জগদীশের আরও খারাপ লাগে। মনে হয় একটা ভিখারী যেন তার উদারতা আর আত্মীয়তার সুযোগ নিয়ে তার বিশেষ বিশ্রামের ঘরের মধ্যে ঢুকেছে। জীবন ভূমিকা পর্যন্ত না করে বলে, আমায় কিছু টাকা দিতে হবে জগদীশ । আমার বড় বিপদ । তোমার বিপদ তো লেগেই আছে । তার কথা শুনে জীবন সখেদে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে। ধাতস্থ হবার চেষ্টা করে বলে, আমি তোমাকে কম পাইয়ে দিইনি। জগদীশ । আমি জেলে গিয়েছি। আমার নামে তুমি এটায় ওটায় অনেক টাকা করেছ। আজি দুদিনের জন্য একটু বেতাল হয়েছি বলে তোমার কি এরকম ব্যবহার করা উচিত ? তুমি যখন যেটুকু করেছ তাব দামের চেয়ে বেশী দিয়েছি তোমায়। তুমি দশ হাজার মেরেছি, আমায় দিয়েছ দুশো টাকা । অন্যলোক পঞ্চাশ কি বন্ডজের একশো পেত । জগদীশ শ্বেত পাথরের সুন্দর গ্লাসটি মুখে তোলে। গড়গডাব নলটা ফেলে দিয়ে সারা দিন পরে এলার একটা সিগাবেট ধরায় । জীবন পকেট থেকে বিড়ি আর দেশলাই বার করে । বিডি বার করে ধরাতে দেরি করছে দেখে জগদীশ সিগারেটের কেন্সটা তাব দিকে এগিয়ে দেয়। সিগারেট ধরিয়ে জীবন বলে, দ্যাখো, আমাদেব অনেককে ফঁাকি দিয়ে কাজন দাডিয়ে গেছে। দুদিনের জন্য একটু বেতাল হয়েছি, আমিও আবার উঠিব জগদীশ । আমাদের বাদ দিয়ে এরা ক-দিন চালাতে পারবে ?--দেশের লোক কমিউনিস্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি ঠিক উঠাব দেখো, আমাকে আবার তোমার দরকার হবে। এভাবে আমাকে তাচ্ছিল্য কোরো না ! জগদীশ বলে, তাচ্ছিল্য নয় হে, তুমি বুঝতে পারিছ না। তোমার দাড়াবার জন্য দরকার হলে হাজার দু-হাজার দিতে পারি, সে দেওয়াটা সার্থক হবে। R\\