পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওটা নয়। মানুষ হয়েছি। এক ভাবে, নিজেকে তৈরী করলাম, একটি ভাবেআজ আবার একেবারে অন্য পথ ধরা কি সহজ কথা ? আমার কি করতে হবে পলিটিকস ধরতে হলে জানো ? যে ভাবে বিজ্ঞান শিখেছি তেমনি ভাবে মেতে যেতে হবে, মনপ্রাণ দিয়ে যাতে ভালবাসতে পারি পলিটিকস, ওটাই যাতে জীবনে সবচেয়ে বড় ওঠে। যে ধাত আমার নয়, সে ধাত গড়ে তুলতে হবে। এ বড় কঠিন কাজ । অর্থাৎ যদি তোমাকে পলিটিকস করতে হয়, জীবনে অন্য কিছুই থাকবে না ? কি করে থাকবে বল ? সে তো শখের ব্যাপার হবে না, ছেলেখেলা হবে। না ? মনের মত কাজ পেলেও কিছু কিছু পলিটিক্যাল ওয়ার্ক করতাম, কিন্তু সেটা হত আলাদা ব্যাপার। শুধু পলিটিকস সম্বল করলে বিজ্ঞান শেখার মত। শিখতে হবে, নিজেকে বদলে নিতে হবে । কথাটা বলা কঠিন নয়। সজ্ঞানে নিজেকে ফাকি দেবার মানুষ সে নয়। বিজ্ঞান সে শিখেছে। সাধনার মতই, রাজনীতি করতে নামলে সেটাও সাধনা করে তুলতে হবে বৈকি। ঝঞ্চাট এড়িয়ে জীবনটা সহজ করে মেনে নিতে পারলে তার আর সমস্যা কি থাকত ! বাসনের কারখানা করেছে, আরও কতদিকে কত কিছু করার আছেকিন্তু নিজেকে ফাকি দেওয়া হবে না। এমন কিছু খুজিছে বলেই তো মুশকিল ! মায়ার মুখও তাই স্নান হয়ে যায়। মায়া অবশ্য হাল ছাড়ে না। দু-দিন পরেই শুভকে বাড়িতে ডেকে বলে, বাবার সঙ্গে পরামর্শ কর । তাতে লাভ কি হবে ? পরামর্শ করলে কখনো ক্ষতি হয় না । পরামর্শ যে তর্ক হয়ে দাড়ায় এবং তর্ক থেকে কলহ আর মনান্তর ঘটে থাকে, এটা মায়া ভুলে যায় একেবারেই। কথা শুরু হতে না হতে ভূদেব গভীর আপসোসের সঙ্গে বলে, একটা সাধারণ লক্ষণ দাড়িয়েছে তোমাদের মত ছেলেদের। ছাকা পলিটিকস ছাড়া জীবনে করার আর কিছুই খুজে পাও না। RR8