পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ তোমার ছেলের জর, কাল মেয়ের বিয়ে এসব ব্যাপারে। আমি আর একটি পয়সাও দিতে পারব না । জীবন আবার সখেদে দীৰ্ঘনিশ্বাস ফেলে। বিড়ির বদলে জগদীশের সিগারেট টানতে থাকায় দীর্ঘনিশ্বাসটা বড়ই ধোয়াটে মনে হয় তার। জগদীশ আবার বলে, আমার কথাও তুমি বুঝবে না। আমারও সেদিন নেই। ছেলেটাকে নিয়ে পড়েছি মহা ফ্যাসাদে ।। কত আশা করেছিলাম। কিন্তু ওর পেছনে এখনও কেবল টাকাই ঢালতে হচ্ছে। বেশী বিদ্যা শিখে ছেলেই বোধ হয়। ডোবাবে আমাকে এবার ! মনে জাল ধরেছিল। জীবন তাই বলে বসে, তোমার ছেলের কথা আর বোলো না। ছেলেকে তুমি মানুষ করনি। সভায় দাড়িয়ে তোমায় গালাগালি দিয়ে বক্তৃতা করে। বলেই জীবন অবশ্য অনুতাপ করে মনে মনে । যার কাছে চাকরি করে দু-পয়সা কামাচ্ছে, জগদীশকে একটু আঘাত দেবার জন্য তার নামে এভাবে বলা উচিত হয়নি। বাপে ব্যাটায় ঝগড়া হলে শুভ নিশ্চয় জানবে কার কাছে সে কথাটা শুনেছে এবং অবশ্যই তাকে কারখানা থেকে দূর করে তাড়িয়ে দেবে! মেঘ-ঢাকা আকাশের মত। থমথমে মুখে জগদীশ পাথরের পাত্র থেকে পাথরের গোলাসে অনেকটা রস ঢেলে গিলে ফেলে—এবার শুদ্ধ করা জল না মিশিয়েই । কী বলছি তুমি পাগলের মত ? সভায় দাড়িয়ে শুভ আমায় গালাগালি করে ? যাক গে যাক গে। যেতে দাও । ছেলেমানুষ তো ! জগদীশ চোখ পাকিয়ে বলে, জীবন, আমার সঙ্গে ছেলেখেলা কোরো না । একটু কাবু হয়েছি, কিন্তু আমি এখনো মরিনি। কবে কোথায় কোন সভায় শুভ আমাকে গাল দিয়েছে তোমায় বলতে হবে। যদি সত্যি হয় তোমার কোন ভয় নেই। সত্যি না হলে জীবন পড়ে যায় মহা বিপদে । কিন্তু মিছেই তো সে সারা জীবন ত্যাগের রাজনীতি করেনি । ভেবেচিন্তে বলে, দ্যাখো, গালাগালি করেছে মানে কি NqNö8