পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষ মরে না, আমার আন্দাজী ওষুধ খেয়ে মানুষটা যদি ঝরে যেত!! আমারও $ত আবার ঐতিভেজে যাওয়ার কথা তুললে নন্দ বলে, এন্ড পীড়াপীড়ি এ সমাজে তোমার একটু মেলামেশা দরকার মনে করি। , লাভ কি ? . . . . * একটু ঘনিষ্ঠভাবে মিশে এদের সম্বন্ধে তোমার কিরকম ধারণা হয় জানতে চাই। আমার ধারণার সঙ্গে মেলে। কিনা দেখব। নন্দ একটু ভেবে বলে, যেতে আমি পারি-কিন্তু ময়ুর সেজে ছদ্মবেশে যেতে পারব না। আমার যা আছে তাই পরে যাব। শুভ আহত হয়ে বলে, সংস্কারের চোরা বালিতে তুইও গলা পর্যন্ত ডুবে আছিস। নীতিকথার বাধা নিয়মে চলতে হবে, এতটুকু এদিক ওদিক করা চলবে না । আমি গরীব মানুষ, আমি কেন বড়লোক সেজে বড়লোকের ভোজে যাব ? একদিন গেলেই পৃথিবী উণ্টে যাবে, আমার গরীবের আত্মসম্মান থাম তো। বেশী বিদ্যা হয়ে সোজা কথা তুই দিন দিন কম বুঝছিস। আমি আপত্তি করছি এইজন্য যে এরকম খাপছাড়া নাটুকেপনা করে লাভটা কি হবে ? লাভ হবে। তুই যদি মিশ খেয়ে যাস, খাপ খেয়ে যাস, কস্মিনকালেও যে এ সমাজে মিশিস নি। টের না পাওয়া যায়, প্রমাণ হবে যে পোশাকটাই ਸ আসলে কোন তফাত নেই। নন্দ হেসে বলে, প্রমাণ দরকার নেই। আমি বলে দিচ্ছি, পোশাকটাই সব নয়, অনেক তফাত আছে। আমি ভালরকম খাপ খেয়ে গেলেও কিছু প্রমাণ হবে না। আমি বাইরের চালচলন নকল করব, অভিনয় করব, কিছুই টের পাওয়া যাবে না । তাতেই কি প্রমাণ হয়ে যাবে অ্যারিস্টোক্র্যাট আর গেয়ে ভূতের মধ্যে তফাত শুধু পোশাকের ? তৰু শুভ নাছােড়বান্দার মত বলে, তা হােক, তোকে যেতেই হবে। একটা একসপেরিমেন্ট করতে দোষ কি ? Ο δ 8