পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থখনদের সমস্যাটা শুভ সহানুভূতির সঙ্গেই বিবেচনা করে। ওদের সর্বনাশকে ছোট করে দেখবার তার উপায়ও নেই। তার প্রচেষ্টা সফল হওয়া মানেই ওদের বাসন তৈরী বন্ধ করা। ওরাও ডুববে না। অথচ তার কারখানাও ভালভাবে চলবে এই অসম্ভব আর সম্ভব হয় কি করে ? তাই, তার নিজের প্রচেষ্টার কল্যাণকর দিকগুলি ফুলিয়ে ফাপিয়ে মনের মধ্যে খুব বড় করে রাখা বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয় হয়ে দাড়ায় শুভর পক্ষে । সেকেলে পচা উৎপাদন-ব্যবস্থা থেকে একটা জাতীয় শিল্প মুক্তি পাবে, বহু লোক কাজ পাবে, দেশের সম্পদ বাড়বে-এজন্য সুখনদের মত কয়েকজন মানুষকে যদি ডুবিতে হয়, উপায় কি ? কুটিরশিল্প টিকিয়ে রেখে তাে আর শিল্পের যুগোপযোগী বিকাশ সম্ভব হয় না। নতুন গড়তে হলে পুরানোকে ভাঙতে হবেই ৷ দেশের শিল্পোন্নতির খাতিরে সুখনদের সমস্ত ক্ষতিকে তুচ্ছ করে দিতে হবে। জমিদারের ছেলে হয়েও তাকে যেমন তুচ্ছ করে দিতে হবে জমিদারি ব্যবস্থা লোপ করা হলে নিজের সমস্ত লোকসান। সারাদিন আত্মীয়বন্ধু অনেকের কাছেই সুখনদের কথা তুলে সে দুঃখ প্রকাশ করে। এদিকটা সত্যই আগে ভাবেনি। বাস্তব কী কঠোর, কিছু লোকের ক্ষতি তাকে করতেই হবে একটা ভালো কাজ করতে গিয়ে ! সুখনদের জন্য তাকে মাথা ঘামাতে দেখে কেউ কেউ আশ্চর্য হয়ে যায় । , বাসন তৈরী কি একচেটিয়া সুখনদের, আর কেউ বানাতে পারবে না ? কারবার মানেই তো পাল্লা দেওয়া, অন্যের বাজার দখল করা ! এ আলোচনা থেকে একটা কথা স্পষ্ট হয়। শুভর কাছে। তার কারখানা কতদিন চলবে, প্রতিযোগিতায় সে নিজেই টিকবে কিনা, এ বিষয়ে অনেকের মনে বেশ খানিকটা সন্দেহ আছে ! জীবনকে সে কারখানায় একটা চাকরি দেবে বলেছে। কিন্তু জীবনের ভাব দেখে মনে হয় না। কারখানা শৈশব পেরিয়ে বেঁচে থাকবে এ আশা সে পোষণ rC3 $ 8bም