পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আঃ হাঃ ! বড়ই বিরক্ত হয় তোরাব, ছেদো কথা কথা রাখো না এখন, ঘরে গিয়ে চাটনি খেয়ো । গাঁদা তামাক সেজে দিয়ে গেছে। কন্ধিটা হুকোয় বসিয়ে বাড়িয়ে দিলেও রাজেন দাস নেয় নি। ঘনরাম তাই চট করে পেপে গাছের একটা ডাল কেটে নল বানিয়ে দিয়েছে রাজেনকে । হুকোয় নিল লাগিয়ে তার পর এমনভাবে তামাক টানছে রাজেন যেন সে ছাড়া ঘরে আর কেউ তামাকের ধোয়া টানতে (अgथमेिं, gन छig| अiश नवांझे नांतांब्लक । হঠাৎ সে হুকোটা লোচনকে বাড়িয়ে দিয়ে বলে,-বলি কি, একটা উপায় চাই। এত বড় নিরুপায় জন্মে হইনি। কোন কালে। অজন্ম এল তো বুঝি না তো এও বুঝি শালা মন্বন্তর ঘটেছে, ও-সব যা করেন তা ভগমান করেন, তেনার নীলা-খেলা আর মোদের আদেষ্ট । কিন্তু ই কি রে বাবা, অজন্ম না, দুর্ভিক্ষ না, খাসা ফলন, তবু হাড়ি চড়বে না, ছেলে-পিলে ক্ষিদেয় কঁাদবো ? শুধু কঁদে না কি ?-তিলু বলে, মরে না ? শ্রীনাথ বলে, বিন্দাবনের বড় ছেলেটা মরেছে, ছোটটা মরবো। ওই যে মণি বাবু, জ্ঞানবাবুর ভাগ্নে, তেনা ছুটে শুধোতে এল আঃ হাঃ ! কাজের কথা কন !-বিরক্ত হয়ে তোরাব বলে । কিন্তু এবার তার বিরক্তি ও আপত্তি খণ্ডন করে রাজেন বলে, না না, শুনি ব্যাপার । শ্রীনাথ থেমে হুকো টেনে নিয়ে টান দিচ্ছিল, ধোয়া ছাড়ার সঙ্গে কেশে খানিকটা কথা তুলে থামেনি, বলে চলে, কলকাতার কাগজে লিখবে কিনা না। খেয়ে মরেছে, তাই শুধোতে এল জ্ঞানবাবুর ভাগনে মোদের ওই মণিবাবু। তা ইদিকে মিণালবাবু শাসিয়ে গেছে, উপোসে মরছে তা বলতে পাবে না, বলবে যদি তো মেরে হাড় গুড়িয়ে দেবে, কয়েদ করবে। বিন্দাবন কি করে, মণি বাবুকে বলল, না বাবু, না খেয়ে মরেনি ছেলে, ব্যারামে মরেছে। মণিবাৰু শুধোল, তা ব্যারামটা কি হয়েছিল? তা কি বুঝি বাৰু চাষাভুষো মানুষ? কি জানি কি পেটের ব্যারাম। মণিবাবু, ধমক দিয়ে বললেন, তোমার ভয় নেই SS