পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেনেও শুভ সাত দিনের বেশী ধৈর্য ধরতে পারে না । মায়া শুনে আশ্চর্য হয়ে বলে, সে কি ! তোমার যাওয়া কি ঠিক হবে ? একটু ঘুরে চলে আসব। . লোকে কি ভাববে ? তোমার বাবা শুনে কি ভাববেন ? মনে মনে অস্বস্তি বোধ করলেও শুভ কথাটা তুচ্ছ করে উড়িয়ে দেয়। মায়া কড়া সুরে জিজ্ঞাসা করে, কেন ? বারতলা যাবার এত তাগিদ কেন তোমার ? দেখেশুনে আসব চারিদিকের অবস্থা । কি দেখেশুনে আসবে ? অবস্থা সব তো জানাই আছে তোমার। শুভ গর্বের সঙ্গে হেসে বলে, আসল কথা কি জানো, গায়ের জন্য আমার মন কেমন করছে । उांझे मांकेि । শুভ ভেবেছিল, যাদের জন্য সে নিজের ব্যাপকে ছেড়েছে, একটা জমিদারি ছেড়েছে, বারতলা স্টেশনে পা দেওয়া মাত্র তাদের মধ্যে নিশ্চয় সাড়া পড়ে যাবে। লোকে বিস্ময় আর কৌতুহল নিয়ে তার দিকে তাকাবে আর নিজেদের মধ্যে গুজগাজ ফিসফাস আলোচনা চালাবে । সে তো আর জমিদারের ছেলে নয়, এবার তাকে আত্মীয় ভাবতে কারো অসুবিধা হবে না। স্টেশন থেকে নন্দর বাড়ি পর্যন্ত সে হেঁটে যাবে, পথে চেনা অচেনা সকলের সঙ্গে কথা বলবে, আরও অবাক হয়ে যাবে সকলে । জগদীশের বিলাতফেরত ছেলে এতখানি নিরহঙ্কার । এমন সহজ সাদাসিদে ভাবে সে তাদের আপনি হতে চায় ! আগে সে যে তাদের আত্মীয় হতে চেয়েছিল তার মধ্যে সত্যই কিছুমাত্র ফাকি ছিল না। এ তো একটা খাটি মানুষ! তাদের আপন মানুষ ! কিন্তু এই গায়েও যেন এত ব্যতিব্যস্ত মানুষ যার যার নিজের জীবনযাত্রাট নিয়ে স্টেশনে গাড়ি থেকে নেমে পথ দিয়ে হাটতে শুরু করেও কয়েকটির বেশী RGt V9