পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকালে আবার যখন দেখা হয় দুজনের, পরস্পরের মুখে রাত-জাগা ক্লিষ্টতার: ছাপ যেন অপমানের মত মনে হয় পরস্পরের। ' 雷 জোর করে মুখে হাসি এনে কৈলাস বলে, সেই কথাই ঠিক রইল তো ? লক্ষ্মীও হাসবার চেষ্টা করে বলে, নিশ্চয় ! কৈলাস বলে, রাতে তাই আর গেলাম না। আর কাঁটা দিনের তো ব্যাপার । Σ Σ শুভ জীবনকে নবশিল্প মন্দিরে কাজ দিয়েছে । জীবন এখন বারতলাতেই সপরিবারে বাস করে । মানুষটার মধ্যে একটা পরিবর্তন ঘটে গেছে যেন রাতারাতি । কংগ্রেসী কর্তাদের বিরুদ্ধে তার জন্মেছিল দারুণ বিক্ষোভ, তারা তার জন্য কিছু না করে থাকলেও শুভর কারখানায় চাকরি পেয়েই তারা যেন সমস্ত ক্ষোভ উপে গেছে। শান্ত প্রসন্ন হয়ে উঠেছে মানুষটা । সেই সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা জন্মেছে ত্রিভুবন দত্তের সঙ্গে এবং গলায় তার উঠেছে । একটি স্বফটিকের মালা । কপালে ও বাহুতে আজকাল রক্তচন্দনের তিনটি রেখাও দেখা যায়। তবে খুবই অস্পষ্ট দাগ-সংকোচটা ঠিক যেন কাটিয়ে উঠতে পারছে না। রাজনীতিতে ধৰ্মগত গোড়ামি আমদানি করার তীব্র বিরোধিতা করে এসেছে আজীবন। বোধ হয়। সেইজন্যই সংকোচ । নিজে থেকে এর কাছে ওর কাছে কৈফিয়তও বোধ হয়। সেই জন্যই দেয় যে, বয়স হল, এখন একটু পরকালের চিন্তা তো দরকার ? গোড়ামির ধার ধারি না। মুক্তি-টুক্তিও চাই না। মনটা একটু শান্ত রাখা, এই আর কি ! মরার পরে ওতেই আত্মার শান্তি হবে। Sves