পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আধা ঘণ্টা পরে শুভার গাড়ি এসে দাড়ালে কাছে গিয়ে তিনজনে প্রণাম জানায়। গোষ্ঠ নিজেদের পরিচয় দেয়। শুভ খুশি হয়ে বলে, তোমরা যেচে এসেছি, এতে আমি বড় আনন্দ পেলাম ‘গোষ্ঠী। তোমাদের মত লোকেরই আমার দরকার। অনেক পরামর্শ আছে তোমাদের সঙ্গে। 岑 পরামর্শ? তিনজনে মুখ চাওয়াচাওয়ি করে। গোষ্ঠ বলে, মোরা নালিশ জানাতে এয়েছি ছোটবাবু। এ কারখানা কেন খুলছেন, মোদের রুজি-রোজগার মেরে দিচ্ছেন ? তাদের নালিশ শুনে শুভ যেন আকাশ থেকে পড়ে । কী বলছি তোমরা ? তোমাদের রুজিরোজগার বাড়াবার ব্যবস্থা করছি। তোমাদের নামঠিকানা বল। বলে সে পকেট থেকে নোটবুক বার করে। শুনে তিনজনেরই মুখ শুকিয়ে যায়। এতক্ষণ মুখপাত্র হিসাবে কথা বলছিল গোষ্ঠ, সে আর মুখ খুলবে না টের পেয়ে সুখন সবিনয়ে বলে, মোরা কী এমন করলাম ছোটবাবু, নামঠিকানা লিচ্ছেন, থানা-পুলিস করবেন ? মোরা এয়েছি। একটু দরবার করতে বৈ C\छ क्र ! সুখনের গায়ে টিকিনের একটা ফতুয়া, মুখে খোচা খোচা গোফদাড়ি, মাথার চুল কদম ছাটার চেয়ে ছোট, বোধ হয় সম্প্রতি বাপ-মা মারা যাওয়ার মত কোন কারণে ন্যাড়া হয়েছিল । শুধু নম্রভাবে নয়, আশ্চর্যরকম ধীরভাবে সে কথা কয়। মনে হয় মানুষটা বুঝি সে এমন ধীর শান্ত যে গ্রাম্য জীবন কেন আশ্রমজীবনের পক্ষেও সে আদর্শ পুরুষ। শুভ শুনলে বিশ্বাস করতে পারত না যে বাদ মেজাজের জন্যই গ্রামের মানুষ তাকে ভয় করে, রাগ হলে তার কাণ্ডজ্ঞান থাকে না । তার বিনয় আর কথা দুই-ই অপমানের মত বাজে শুভর। এর চেয়ে মনের আসল কথাটা প্রকাশ করে গরম হয়ে দুটো গাল দিলেও যেন অনেক ভালো S 8V