পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাব। অথচ মেয়ের কাছে আমার দাম কতটুকু ? মায়া স্পষ্ট বলে, আমার মেয়ে না হয়ে, আমার হাতে মানুষ না হয়ে— ভূদেব হঠাৎ চেচিয়ে ওঠে, বাপকে বাতিল করা যায় না। শুভ। নিজের বােপকে মেনেই যৌবনে একজন বাপ হবে, নিজের বুড়ো ব্যাপকে যে সম্মান দিয়েছিল নিজের ছেলের কাছে বুড়ে বয়সে আশা করবে। সেই সম্মান। নইলে বাপ হবার দায় কে নেবে বল ? ছেলে এগিয়ে যাবে তাই তো বাপ চায়, সেটাই তো সুখ আর সার্থকতা বাপের-বাপেকে কি বাতিল করতে পারে ছেলে ? হাতের কাছেই গেলাস ছিল, শুভ ঢাকাঢাকা করে খানিকটা জল খেয়ে বলে আজ বুঝতে পারছি মায়া কেন আশা করেছিল। আপনি আমার মনের গতি ঘুরিয়ে দিতে পারবেন। আগু মেণ্টের ভিতটা আপনি গাঁথতে জানেন। ভূদেব সায় দিয়ে বলে, এটা কিন্তু চালাকি বিদ্যা নয়। ধারালো বুদ্ধি থাকলেই এটা হয় না । যতটা পাবি সহজ বাস্তব হিসাব দিয়ে একটা বিষয় বিচার করি—এই হল আমার প্রিন্সিপাল। প্রত্যেক মানুষের একটা সহজ বাস্তববোধ থাকে। তোমার আছে, আমারও আছে। একটা মুখু্য গেয়ে চাষারও আছে। একটা অ্যাকসিডেণ্ট ঘটলে মুখু্য চাষাও সেটা অ্যাকসিডেণ্ট বলে মানবে, আমরাও অ্যাকসিডেণ্ট বলেই মানব। ঘটে গেছে উপায় কি ! অ্যাকসিডেণ্টকে তার চেয়ে বড় করে দেখা বোকামি । একটু থেকে বলে, এ ব্যাপারটাকে তোমার অ্যাকসিডেন্ট ভাবতে হবে QS শুভ সঙ্গে সঙ্গে বলে আমি তাই ভাবছি। ঘটে গেছে উপায় কি । সম্পর্ক ঘুচে গেছে যাক। অ্যাকসিডেন্ট হয়ে যা ভাঙে তা তো আর জোড়া লাগবে না, যে মরে সেও বাচাবে না । সেটা মানতেই হবে। ভূদেব কিছুমাত্র বিচলিত না হয়ে হলে, জগদীশ। সবাইকে নিয়ে কলকাতার বাড়িতে চলে এসেছে। কিরকম দেখলাম জান ? একটা যেন খুন করেছে, এবার ফাসি যেতে হবে। আমিও জানি ওরা অনেক ভালো সেণ্টিমেণ্ট মরে S80