পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কত তাড়াতাড়িই যে কেটে যায় তার রাগ আর লক্ষ্মীর ঠাসবুনানি দেহটার জন্য উগ্র পাশবিক লালসা-বেয়াদবি করার অজুহাতে গায়ের জোরে তাকে ভোগ করার অন্ধ উন্মাদ তাগিদ। · তার বদলে উথলে ওঠে তীব্র ঘৃণা আর বিদ্বেষ। এক জগদীশের বিরুদ্ধে নয়, পূর্বপুরুষদের বিরুদ্ধে, বংশের বিরুদ্ধে। যে বংশ তাকে এই রোগ দিয়েছে। একেবারে রক্তের মধ্যে সঞ্চারিত করে দিয়েছে রোগ। হঠাৎ হোক, সাময়িকভাবে হোক, বেশীক্ষণ তাকে কাবু করতে না পারুক, তার এত দিনের এত চেষ্টা এত সাধনাকে ঠেলে সরিয়ে রোগটা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে । শুভ জানে, এই জালাবােধের তীব্রতাও ধীরে ধীরে কমে আসবে—এটা শুধু প্রতিক্রিয়া । মন তার শান্ত হবে । কিন্তু এখন তো বিশ্রী লাগার সীমা পরিসীমা থাকছে না । লক্ষ্মীর জন্যই কি বাসন সম্পর্কে সচেতন হল শুভ ? কে জানত নবশিল্প মন্দিরকে পিতল কঁাসি ভরানের বাসন তৈরির কারখানায় পরিণত করার কথা শুভর মাথায় এসেছিল এবং ধারণাটা যুগিয়েছিল মেলারই বাসনের অস্থায়ী দোকানগুলি আর বাসন সম্পর্কে মানুষের লোভ ও আগ্রহ। ছেলেবেলা থেকে এ মেলার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ পরিচয় । - কলকাতায় পড়বার সময়েও বাড়িতে এসে তিন দিন সে মেলা চষে বেড়িয়েছে। কিন্তু আগে কোনবার লক্ষ্য করেনি যে মেলায় এতগুলি বাসনের অস্থায়ী দোকান হয়, এত লোক বাসন। কিনতে চেয়ে পছন্দ আর দরিদস্তুর করে, এত বাসন विकि९3 श् । এবার মেলায় ঘুরতে ঘুরতে এটা খেয়াল করে সে নাকি সত্যই আশ্চর্য হয়ে গেছে। ভিড় ? না, ঠিক ভিড় হয় না বাসনওয়ালাদের কাছে, যেমন ভিড় অন্য অনেক রকম শাস্তা জিনিসের দোকানো হয়। কিন্তু সেটাই তো স্বাভাবিক । মফস্বলের মেলায় ভিড় করে আসে দীনহীন গরীব মানুষ যাদের মধ্যে কতজনকে SW 8