পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



আজকের আমেরিকা
২১৩

রাজি হ’ত না তারা মনের দুঃখে বনে গিয়ে যিশুগুণগানে সময় কাটাত না, হাড্‌সন নদীতে গিয়ে ঝাঁপ দিত না, নিজকে গুলি করে মারত না। তারা বীরের মত দল বেঁধে ডাকাতি করত। ভাড়াটে লেখক তাই রং ফলিয়ে লেখত আর দেশ বিদেশে সেই গল্পগুচ্ছ চালান দিত। আমাদের দেশেও তা আসত। আমরা তাই পড়তাম আর বলতাম আমেরিকার চিকাগো শহরের লোক প্রায়ই “ক্রিমিনেল”। ছায়াচিত্রে সেই রং ফলানো গল্প লহরী সজীব করে সর্বত্র পাঠানো হ’ত। তা দেখে লোক অবাক হ’ত।

 সময়ের পরিবর্তন হ’ল। মজুর ধর্মঘট করতে শিখল। ডাকাতি বন্ধ হ’ল। মজুরের গোলামী আমেরিকা হ’তে কিছুটা কমল। মজুর দেখল, ডাকাতি করে যা পাওয়া যায় তা সকল সময় ভোগ করা যায় না। রবিন্‌ হুডের মত বিতরণও করা যায় না, সেজন্য বড় বড় ডাকাত, মজুরের সর্দার হ’ল মজুরী যাতে বাড়ে তার চেষ্টা করতে লাগল। আমি যখন চিকাগোতে গেলাম তখন দেখলাম চিকাগোতে ডাকাত নাই, পেশাদার ভিখারী আছে। লোকে বলল চিকাগোর ডাকাতের দল সকলেই কালিফরনিয়ায় চলে গেছে। যখন কালিফরনিয়াতে গেলাম তখন দেখলাম ঐ ডাকাতের দল মজুরে রূপ নিয়ে কটন পিকারর্ম যাতে বেশি রোজনা পায় তারই জন্যে চেষ্টা করছে। যাঁরা পরের জন্য জীবনের যথাসর্বস্ব বিলিয়ে দেয় তাঁদের পুঁজিবাদীরা ডাকাত বলে আখ্যায়ীত করে।

 চিকাগো থেকে বিদায় নিবার জন্যে আমি উৎসুক হয়ে উঠলাম কারণ নগরের সকলেই যেন আলাদিনের প্রদীপ হাতে করে কি খুঁজে বেড়াচ্ছে, রাতারাতি বড়লোক হবার জন্যে। চিকাগোর সম্বন্ধে আমার একটা বেশ ভাল ধারণা ছিল, কিন্তু চিকাগো দেখবার পর আমার