পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



২১৪
আজকের আমেরিকা

সে ধারণা চুরমার হয়ে গেল। একটা প্রকাণ্ড নগর, বুভুক্ষা রাক্ষসী যেন হাঁ করে আছে।

 চিকাগো আমেরিকার দ্বিতীয় নগর। এখানে পায়ে হেঁটে অলিতে গলিতে বেড়ানো কঠিন কাজ। এক দুমাসে চিকাগোর কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু চিকাগো হ’তে বিদায় নিবার পূর্বে এখানে স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতিচিহ্ন কি আছে তা দেখতে ইচ্ছা হল। চিকাগোর একখানা গাইড বই নিয়েছিলাম। তাতে অন্যান্য ধর্ম স্থানের উল্লেখ ছিল। কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশন অথবা বেদান্ত সোসাইটির উল্লেখ ছিল না। এদিকে মোহিত বাবুর সংগেও দেখা হচ্ছিল না। তা বলে আমি বসে থাকিনি। অনেক লোকের সংগে এ সম্বন্ধে অনেক কথা বলেছিলাম। এমন কি স্থানীর পোল্‌স্‌ এবং গৃকদের সংগে এ সম্বন্ধে অনেক কথা হয়েছিল।

 পোল্‌স্‌ অল্পে তুষ্ট এবং গল্পপ্রিয়। গৃকরা ভারতবর্ষকে সোনার দেশ বলেই মনে করে। সকলেই আমার সংগে প্রাণ দিয়ে কথা বলল কিন্তু কেউ স্বামী বিবেকানন্দ সম্বন্ধে কিছুই বলতে পারল না। অবশেষে মোহিতবাবু আমাকে চিকাগোর বেদান্ত সোসাইটিতে নিয়ে যান। সেখানের বেদান্ত সোসাইটির সংগে যদি কলকাতার রাজা রাজকৃষ্ণ স্ট্রীটের বেদান্ত সোসাইটির তুলনা করা যায় তবে রাজা রাজকৃষ্ণ স্ট্রীটের বেদান্ত সোসাইটির অবস্থা দশ গুণ ভাল বলব। চিকাগোর বেদান্ত সোসাইটি দেখার পর ৺ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতি আমার বেশ রাগ হয়েছিল। তাঁরই লেখা প্রথম ভাগ আমার পাঠ্য ছিল। তিনি শিখিয়েছেন “যত কয় তত নয়, সব ভয় কর জয়”। সব ভয় জয় করা যায় এবং তাতে অনেকটা অগ্রসরও হয়েছিলাম বলেই মনে হয়। কিন্তু “যত কয় তত নয়” এই সত্য বাক্যটি